বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ারে শেষ কবে তৃণমূলের পুরনো কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এই উচ্ছ্বাস উদ্দীপনা দেখা গিয়েছিল তা মনে করতে পারছে না এলাকার রাজনৈতিক মহল। এদিন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে দলের পুরনো কর্মী সমর্থকরা সংবর্ধনাও দিয়েছেন মৃদুলবাবুকে। তবে এদিন নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নব্য তৃণমূলী নেতাদের কাউকেই দেখা যায়নি।
পরে স্টেশন থেকে মিছিল করে মৃদুলবাবুকে দলের পুরনো কর্মী সমর্থকরা শহরের অরবিন্দনগরে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। দলনেত্রী মৃদুলবাবুকে গুরুত্ব দেওয়ায় খুশি পুরনো কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহল মনে করছে দলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার উপর নির্ভরতা কাটাতেই নেত্রী আলিপুরদুয়ারে দলের জেলা চেয়ারম্যান করেছেন তাঁর রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘদিনের সঙ্গী মৃদুল গোস্বামীকে। তৃণমূল দলের জন্মের পর মৃদুলবাবু তিন দফায় দলের সাবেক জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি ছিলেন। পরে আলিপুরদুয়ার সাংগঠনিক জেলারও সভাপতি হন।
দলের বহু নেতাকর্মী দল ছেড়ে গেলে কিংবা বসে গেলেও দলের দুর্দিনে ও সুসময়েও মৃদুলবাবু দল ছেড়ে যাননি। রাজনৈতিক মহল ও দলের পুরনো কর্মী সমর্থকরা মনে করছেন বহুদিন পর তারই পুরস্কার পেলেন মৃদুলবাবু।
এদিন মুদুল ঘনিষ্ঠদের অন্যতম মিহির দত্তের নেতৃত্বে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে মৃদুলবাবুকে সংবর্ধনা দেন পুরনো কর্মী ও সমর্থকরা। মিহিরবাবু বলেন, মৃদুলবাবু ও আমরা দলের জন্মলগ্ন থেকেই দলের সঙ্গে যুক্ত। দলনেত্রী মৃদুলবাবুকে দলের জেলা চেয়ারম্যান করায় আমরা খুশি।
দলের জেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পর মৃদুলবাবু অবশ্য বলেন, দলে পুরনো বা নব্য বলে কিছু নেই। আলিপুরদুয়ারে লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির পর দলনেত্রী আমার উপর আস্থা রেখেছেন। দলনেত্রীর সেই আস্থার মর্যাদা দিতে হবে। সবাইকে নিয়েই দলের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেত হবে।
দলের জেলা সভাপতি মোহনবাবু বলেন, মৃদুলবাবু ঠিকই বলেছেন। দলনেত্রী সবাইকে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব।