কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, ডেঙ্গু রুখতে জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভা স্তরে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসা সঠিকভাবে হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য একটি পর্যবেক্ষক টিম তৈরি করা হয়েছে। দুই জন চিকিৎসক ও দুই জন নার্স সেই টিমে থাকবেন। ডেঙ্গু আক্রান্তের চিকিৎসা সমস্ত নিয়ম মেনে হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখবেন ওই টিমের সদস্যরা। সঠিকভাবে প্রোটোকল মানা না হলে সেই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসককে শো-কজ করা হবে।
প্রতি বছরই জেলার কিছু কিছু জায়গায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বাইরে থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যেমন কিছু মানুষ জেলার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা করাতে আসেন তেমনি জেলার মধ্যেও কিছু কিছু জায়গায় অনেক সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। মূলত মশার কামড়েই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিশেষ পদ্ধতিতে রোগীর রক্ত পরীক্ষা করে তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায় যে ওই রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে রোগীর চিকিৎসা চলে।
ডেঙ্গু রুখতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবার আগে থেকেই প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেছে। গ্রামীণ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে এলাকা সমীক্ষা, জমা জল পরিষ্কার করা, জঞ্জাল সাফ করা, ডিডিটি ও মশা মারার তেল স্প্রে করা সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইভাবে পুরসভা এলাকাগুলিতেও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সচেতনতা শিবির সহ অন্যান্য উদ্যোগও চলছে। এরই পাশাপাশি এবার জেলার হাসপাতালগুলিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হলে ওই সমস্ত রোগীদের সঠিকভাবে স্যালাইন দেওয়া, নার্সরা নির্দিষ্ট সময় পরপর ওই রোগীদের দেখছেন কি না, দুই ঘণ্টা পর পর রোগীদের মনিটরিং হচ্ছে কি না সহ একাধিক বিষয়ে প্রোটোকল অনুসারে চিকিৎসা হচ্ছে কি না তা সুনিশ্চিত করা হবে। এই বিষয়গুলিই পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা ঘুরে ঘুরে দেখবেন।