বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বাগডোগরা থানার ওসি দীপঙ্কর গোস্বামী বলেন, গাড়ি চুরির ঘটনায় বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সাতদিন আগে বাগডোগরা থানায় একটি পিকআপ ভ্যান চুরির অভিযোগ দায়ের হয়। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটের বাগডোগরা থানার পুলিস স্থানীয় এলাকা থেকে একটি পিকআপ ভ্যানের চালককে পাকড়াও করে। ধৃতের নাম শিষ কুমার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের দেওয়া তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার রাতে বাপ্পা রায় ওরফে ভস্তা ও সঞ্জিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমজন পিকআপ ভ্যানের চালক। দ্বিতীয়জন লরির খালাসি। তারা কখনও দিনমজুরের কাজ করত। দু’জনকেই সংশ্লিষ্ট থানার গোসাঁইপুর এলাকা থেকে ধরা হয়।
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর বাগডোগরা থানার পুলিসের এককর্তা বলেন, লরি, পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার ও খালাসিদের একাংশ জোট বেঁধে গাড়ি পাচার চক্রে শামিল হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে মাটিগাড়া, প্রধাননগর থেকে এনজেপি সহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ওই চক্র জাল বিস্তার করেছে। এরা বিভিন্ন সময় বিহার, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নেপাল সীমান্ত, জলপাইগুড়িতে পণ্য বোঝাই পিকআপ ভ্যান নিয়ে যায়। সম্ভবত সেই সময়ই ওদের সঙ্গে বড়ধরনের কোনও চক্রের যোগাযোগ হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত ও গিঞ্জি শহর শিলিগুড়ি। এই শহরে অপরাধ করে সহজে গা ঢাকা দেওয়া সম্ভব। এখান থেকে সহজেই নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, বিহার, অসম পাড়ি দেওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ছড়ানো রয়েছে গোরু ও মাদক পাচারকারীদের নেটওয়ার্ক। সম্ভবত সেই চক্রের সঙ্গে ড্রাইভার-খালাসি আঁতাত চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। কাজেই, শুধু নকল মদ ওই চক্র পচার করছে না। তারা কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও অসম থেকে গাঁজা, মালদহ ও মুর্শিদাবাদ থেকে হেরোইন, গোরু ওসব পাচারে চোরাই পিকআপ ভ্যানগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
অন্যদিকে, ধৃত ভস্তা ও সঞ্জিৎকে এদিন শিলিগুড়ি এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চুরি হওয়া পিকআপ ভ্যান ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে সঞ্জিৎ চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। অপরাধ জগতের সঙ্গে ওর ওঠা-বসা অনেক দিনের। এলাকাতেও ওর বিরুদ্ধে প্রচুর অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে। এদিন ধৃতকে পাঁচদিনের জন্য হেফাজতে নিতে আদলতে আবেদন জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, গাড়ি চুরির অভিযোগে ধৃত শিষ কয়েকদিন ধরেই আদালতের নির্দেশে পুলিস হেফাজতে রয়েছে। তবে গাড়ি চুরির অভিযোগে তিনজন ধরা পড়লেও এখনও পর্যন্ত চক্রের পাণ্ডা ধরা পড়েনি। তাই ওই পাণ্ডার খোঁজে এবার পুলিস তদন্তের স্ট্যাটেজি কিছুটা পরিবর্তন করছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিসের এক অফিসার বলেন, শিষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সঞ্জিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিষ ও সঞ্জিতের কাছ থেকে বেশকিছু তথ্য মিলেছে। এবার সেই তথ্যগুলি যাচাই করতেই শিষ ও সঞ্জিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে। পাশাপাশি চক্রের পাণ্ডার খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হবে। বাগডোগরা থানার পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, এই চক্রের শেকড় অনেকটাই গভীরে ছড়িয়ে রয়েছে। যেভাবেই হোক এই শেকর উপরে ফেলা হবে। শীঘ্রই এই কাজ করা হবে।