বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিধায়ক উদয়ন গুহর বিরুদ্ধে বিজেপির মিছিলে নেতৃত্ব দেন দলের রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি মালতী রাভা, জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার। মিছিলটি দিনহাটা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যায়। বিজেপির দাবি, উদয়ন গুহর নেতৃত্বে পুরসভায় সরকারি ঘর বিতরণে কাটমানির টাকা নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা বিধায়ককে ফেরত দিতে হবে।
উদয়নবাবু অবশ্য বলেন, বিজেপি একটা লোককে সামনে দাঁড় করিয়ে প্রমাণ করুক আমি কাটমানি নিয়েছি। ওরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করে শহরে গণ্ডগোল পাকাতেই মিছিল করেছে।
এদিকে গত রবিবার আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শিবকাটার স্থানীয় দুই বাসিন্দা পিএমজিওয়াই রাস্তার কাজে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য গীতা টোপ্পোর বিরুদ্ধে শামুকতলা থানায় এফআইআর করেছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ওই দুই অভিযোগকারী ফাগুয়া ওঁরাও এবং সীতারাম ওঁরাও তাঁদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। তাঁরা বলেন, বিজেপির প্ররোচনাতেই ভুল করে অভিযোগ করেছিলেন। ওরা টাকার লোভ ও ভয় দেখিয়েছিল। আমরা দু’দিন বাদে ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
গীতা টোপ্পো বলেন, কাটমানি ইস্যুতে বিজেপি গ্রামেগঞ্জে সাধারণ মানুষকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। এঘটনাই তার প্রমাণ।
শামুকতলা থানার পুলিসের এক কর্তা জানান, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাহার হয়েছে। তাই অভিযোগ হলেও মামলা করা হয়নি।
বিজেপির আলিপুরদুয়ারের সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। তৃণমূল নেতৃত্ব দুই বাসিন্দাকে চাপ দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করিয়েছে। তৃণমূল মানহানি মামলা করতেই পারত।
এদিকে বুধবার কাটমানি ফেরত দেওয়ার দাবিতে শীতলকুচির খলিসামারিতে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল নেতা বলেন রায়ের বাড়ি ঘেরাও করে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখায়। বলেনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করেন।।
এদিকে ময়নাগুড়ির চূড়াভাণ্ডারে প্রধানের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বিজেপির পক্ষ থেকে ১৫ দফা দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। অপরদিকে ধূপগুড়ি ব্লকের গধেয়ারকুঠিতে প্রধানকে ১৯ দফা দাবিতে বিজেপি স্মারকলিপি দিয়েছে।