বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিকচন্দ্র পাল বলেন, আমরা পুরসভার পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জে ট্রাকস্ট্যান্ড তৈরির প্রস্তাব রাজ্যে পাঠিয়েছিলাম। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে পরিবহণ দপ্তর টাকা বরাদ্দ করে। ট্রাক মালিকদের সংগঠন জমি দিয়েছে। ওই জমিতেই ট্রাকস্ট্যান্ডটি গড়ে তোলা হচ্ছে। কালিয়াগঞ্জে প্রতিদিন বিভিন্ন কারণে শতাধিক ট্রাক ঢোকে। সেগুলি যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে সমস্যা হয়। এই ট্রাক স্ট্যান্ডটি হয়ে গেল সেই সমস্যা আশা করি অনেকটাই মিটে যাবে।
কালিয়াগঞ্জ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকা থেকে ভুট্টা রপ্তানি করা হয়। এছাড়াও কালিয়াগঞ্জে বেশকিছু তেলের মিল থাকার কারণে সরিষার খোল নেওয়ার জন্য কিছু ট্রাক এখানে আসে। এছাড়াও চাল, ডাল, সব্জি, মাছ সহ অন্যান্য সামগ্রী আনা নেওয়া করতে প্রতিদিনই প্রচুর ট্রাক শহরে যখন তখন ঢোকে। ট্রাকে ওসব সামগ্রী ওঠানো ও নামানোর জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে। স্ট্যান্ডটি তৈরি হলে সেখানেই বাইরে থেকে আসা ট্রাকগুলিকে দাঁড়াতে হবে। সেখানেই সামগ্রী ওঠানো ও নামানো হবে। পরে ছোট গাড়িতে শহরের নির্দিষ্ট দোকানে ওসব সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এজন্য নির্দিষ্ট টাইম টেবিলও পুরসভা তৈরি করে দেবে।
শহরে দিনের বেলাতেই ট্রাক ঢোকায় সাধারণ বাসিন্দাদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। ট্রাকস্ট্যান্ডটি হয়ে গেলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে বলেই দাবি করেছে কালিয়াগঞ্জ পুরসভা। পুরসভা একবছর আগে পরিবহণ দপ্তরের কাছে ট্রাকস্ট্যান্ড বানানোর জন্য প্রস্তাব পাঠায়। এরপর পরিবহণ দপ্তর জায়গা সমীক্ষা করে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করে। সেই টাকা দিয়েই এখন ট্রাকস্ট্যান্ডটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে ট্রাক রাখার জন্য শেড, চালকদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, গার্ড রুম, শৌচালয় সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। এছাড়াও ওই এলাকার যেসব জায়গায় সীমানা প্রাচীর দেওয়া দরকার সেসব জায়গায় সীমান প্রাচীরও গড়ে তোলা হবে। ফরাক্কা সেতু সংস্কারের জন্য মাঝে কিছু দিন পাথর পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ায় কাজ কিছুটা ধীর গতিতে চলছিল। এখন সেই সমস্যা মেটায় কাজ সঠিক গতিতে এগচ্ছে বলে পুরসভা দাবি করেছে। পুরসভা আগামী বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়েছে।