বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
জেলা পরিবহণ আধিকারিক আশিস কুণ্ডু বলেন, ভুটভুটি নিয়ন্ত্রণের বিষয় আমাদের দপ্তরের কোনও অনুমতি নেই। জেলাশাসক অনুমতি দিলে আমরা পুলিস প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাতে পারব। ভুটভুটির ব্যাপারে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।
পুলিস জানিয়েছে, অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ করলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গঙ্গারামপুরের ছোট গাড়ি চালক বিবেক দাস বলেন, দু’বছর আগে পণ্যবহণকারী ছোট একটি গাড়ি কিনি। সম্প্রতি জেলায় যেভাবে ভুটভুটির দাপাদাপি চলছে তাতে ব্যাঙ্কে ঋণের কিস্তি দিতেই নাভিশ্বাস উঠছে। ভুটভুটি কম মাশুলে পণ্য পৌঁছে দেয়। তাই সেদিকেই সকলে ঝোঁকেন। এতে আমরা ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছি।
মোটর বাইকের ইঞ্জিন, ছোট জেনারেটর দিয়ে জেলাতেই ভুটভুটি বানানো হয়। বেশি পণ্য পরিবহণের জন্য বেশি শক্তিশালী ইঞ্জিন ভুটভুটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। পণ্য নেওয়ার পাশাপাশি ওসব ভুটভুটিতে যাত্রীও পরিবহণ করা হয়। একদিকে ছোট পণ্যবাহী গাড়ির ব্যবসা মার খাচ্ছে, অন্যদিকে ভুটভুটি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করছে। এর বিকট আওয়াজে শব্দ দূষণ ঘটছে। জেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো ভুটভুটি বানানোর কারখানা হয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগাতেই বেআইনিভাবে ওসব বানানো হচ্ছে। বাতিল হওয়া মোটর বাইক কিংবা ছোট গাড়ির ইঞ্জিন মেরামত করে ভুটভুটি বানানো হয়। এসবের কোনও রেজিস্ট্রেশন হয় না। ভুটভুটি চালাতে চালকদেরও পরিবহণ দপ্তরের দেওয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স দরকার হয় না। বিমাও করাতে হয় না। অবৈধভাবে মাত্রাতিরিক্ত পণ্য তুলে এসব জাতীয় ও রাজ্য সড়ক থেকে পাড়ার অলিগলিতে ঢুকে পড়ছে। কাগজপত্র না থাকায় পুলিস ধরপাকড় করলেও আইনি পথে জরিমানা আদায় করতে পারে না।
জেলার বুনিয়াদপুর, গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাট এলাকায় ভুটভুটি তৈরির ওই কারখানাগুলি রয়েছে। ৬০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ টাকার মধ্যে ওসব কারখানায় ভুটভুটি বিক্রি হয়। জ্বালানি হিসেবে যেহেতু কেরোসিন ব্যবহার করা হয় তাই খরচও কম। এক লিটার কেরোসিনে প্রায় ৪০ কিমি যায়। অন্যদিকে ডিজেল প্রতি লিটার প্রায় ৬৬ টাকা। ডিজেল চালিত পণ্যবাহী গাড়ি এক লিটারে মাত্র ১০-১২ কিমি যায়। তাই ব্যবসায়ীরা কেরোসিন চালিত ভুটভুটিতেই পণ্য নিতে বেশি আগ্রহ দেখান।