বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের রানা রাভা বলেন, সারারাত জেগে পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি হাতি তাড়াবার এই কাজের জন্য জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বসবাসকারী গ্রাম এবং বনবস্তির বাসিন্দাদের নিয়ে জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্টের অধীনে কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির ওই সদস্যদের প্রত্যেককে জয়েন্ট ম্যানেজমেন্টের তরফে ৩০০০ টাকা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, হাতির হামলায় মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রায় প্রতি রাতেই হাতির দল বক্সার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে গ্রামে ঢুকে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি ফসল তছনছ করে দিচ্ছে। হাতি এবং মানুষের সংঘর্ষ হচ্ছে। যার ফলে মেন্দাবাড়ি গ্রামের অধীনে থাকা গ্রামগুলির বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বনদপ্তরকে হাতির এই হামলার বিষয়টি বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। বনদপ্তরের একটি গাড়িতে চেপে বন কর্মীরা টহল দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। মেন্দাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বামনপাড়া এবং উত্তর মেন্দাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা যশদেব কুজুর এবং সুশীল রাভারা বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশেই থাকা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের মেন্দাবাড়ি এবং মন্থরাম বিটের জঙ্গল থেকে প্রতি রাতেই হাতি বেরিয়ে এসে গ্রামে হামলা চালাচ্ছে। ক্ষতিপূরণের টাকা যা পাওয়া যায় তা খুবই সামান্য। এদিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম বনাঞ্চলের উপক্ষেত্র অধিকর্তা শ্রী হারিষ বলেন, হাতির হামলা আটকাতে টহল দেবার জন্য দপ্তরের তরফে এ্যালিফেন্ট স্কোয়াড নিযুক্ত রয়েছে। তাছাড়াও বক্সার জঙ্গল ঘেঁষা যে সমস্ত গ্রামগুলিতে হাতির হামলা বেশি হয় সেখানেও বনদপ্তরের এই স্কোয়াড টহল দেওয়ার কাজ করছে। পাশাপাশি জয়েন্ট ফরেস্ট ম্যানেজমেন্টের তরফে তৈরি হওয়া নয়া কমিটিও কাজ করবে।