আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
বালুরঘাট পুরসভার প্রশাসক তথা বালুরঘাটের মহকুমা শাসক ঈশা মুখোপাধ্যায় বলেন, একই নম্বরের একাধিক টোটো শহরে চলছে, এমন অভিযোগ সম্প্রতি আমিও পেয়েছি। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা শীঘ্রই অভিযানে নামব। যারা এমন বেআইনি কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেব।
প্রশাসন জানিয়েছিল, চলতি মাস থেকে বালুরঘাট শহরে তিন চাকার ব্যাটারি চালিত টোটোর বদলে ব্যাটারি চালিত ই-রিকশ চালানো হবে। এব্যাপারে টিন পাওয়া বর্তমান টোটো চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এজন্য লাইন্সেস প্রাপ্ত টোটো বদল করে নিদিষ্ট কয়েকটি কোম্পানির তৈরি নিরাপত্তাযুক্ত ই-রিকশ কিনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু শহরে খুব কম সংখ্যক টোটো মালিকই তাঁদের পুরনো টোটো বদলে ই-রিকশ নিয়েছেন। সেসময়ে এও বলা হয়েছিল যারা লাইন্সেস নেয়নি তাদের টোটো বাতিল বলে গণ্য হবে। যদিও ওসব খাতায় কলমে থাকা নির্দেশিকা বাস্তবায়িত হয়নি। পরিবর্তে নতুন টোটো, ই-রিকশর বিক্রি শহরে হু হু করে বেড়েছে। যেকারণে শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে, মূল রাস্তায় প্রতিদিন যানজট বেড়ে চলছে।
নতুন টোটোগুলি কী করে টিন পাচ্ছে, সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। পুরসভা নতুন করে টোটোর লাইন্সেস দিচ্ছে না। এরপরেও নতুন টোটোর পিছনে টেম্পোরারি আইডেন্টিফিকেশন নম্বর প্লেট থাকছে। একাংশ টোটো চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, টাকা দিয়ে তারা টিন লাগিয়েছেন। এজন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। যাদের টোটো নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিংবা আর টোটো চালাবেন না তারা মোটা টাকার বিনিময়ে তাদের টোটোর টিন বিক্রি করে দিচ্ছে। কাগজপত্র আলাদা থাকলেও টিন প্লেট এক্ষেত্রে মূলই থাকছে। অন্য আরেকটি অংশ নকল টিন প্লেট বানিয়ে বিক্রি করছে। পুলিস ও পুরসভার পক্ষ থেকে দু’টি ক্ষেত্রেই টিন প্লেট দেখে তা সহজে বোঝা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে টোটোর প্রকৃত কাগজপত্র ও টিনের কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। এসব কারণেই শহরে টোটোর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাসিন্দারা সেজন্য টোটোর বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান, ধরপাকড়ের দাবি তুলেছেন।