বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
ছাড়টন্ডুর এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের এলাকায় যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ঘাঠিয়া নদীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। নাগরাকাটা সদরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে মনমোহন পাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, সুখানি নদীর সেতুর একাংশ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। বর্তমানে এই নদীর সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে। আমাদের সঙ্গে নাগরাকাটার যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মাল মহকুমা শাসক সৈয়াদ এন বলেন, ভুটান পাহাড়ের বৃষ্টিতে ছাড়টন্ডুর একটি রাস্তার একাংশ ভেসে গিয়েছে। অন্যদিকে মনমোহন পাড়ার সেতুর অবস্থাও ভালো নয়। ছাড়টন্ডুর যে রাস্তা ভেসে গিয়েছে সেখানে সেচদপ্তরকে দ্রুত বাঁধ তৈরি করতে বলা হয়েছে। এবং যেখানে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে জল কমে গেলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে ত্রাণের প্রয়োজন সেখানে আমরা ত্রাণ দিয়ে দিয়েছি। প্রয়োজনে ত্রিপল দিতেও বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা নেমে পড়েছি ।
এদিন ভোররাতে নাগরাকাটায় ও পার্শ্ববর্তী ভুটান পাহাড়ে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সুখানি নদী, ঘাঠিয়া নদী, ডায়না নদীতে জল অনেকটাই বেড়ে যায়। মেটেলি ব্লকের নেওড়া নদীতেও জলে বেড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। এদিকে ৩১ নং জাতীয় সড়কের গ্রাসমোড় থেকে ছাড়টন্ডু যাওয়ার রাস্তাটির ১০০ মিটার ঘাঠিয়া নদীর ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি তিনটি বাড়িও ভাঙনের কবলে পড়ে তলিয়ে গিয়েছে। রাস্তার মধ্যে থাকা বিদ্যুতের খুঁটিও ভেসে গিয়েছে। ফলে পুরো গ্রাম বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ছাড়টন্ডুতে নদীর জল ঢুকে ২৫টি বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে মনমোহনপাড়া যাওয়ার একমাত্র সুখানি সেতুও জলের তোড়ে একাংশ ভেঙে গিয়েছে। ওই সেতুর উপর দিয়ে জল বইছে। ফলে নাগরাকাটার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার রাতে ভুটান পাহাড় ও সমতলে অতিবৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট, কালচিনি ও কুমারগ্রাম ব্লকের কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কুমারগ্রামে ঢোকসা নদীর জলস্ফীতিতে ঢোকসা বাঁধ ভেঙে তুরতুরিখণ্ড পঞ্চায়েতের নয়াবস্তি, মহাবীর লাইন, ৩ নম্বর কলোনি ও বাবুধুরা এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্গতদের স্থানীয় একটি এসএসকে’র বিল্ডিং ঘরে রাখা হয়েছে। দুর্গতদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। কুমারগ্রামের বিডিও লাকপা ভুটিয়া বলেন, ঢোকসা বাঁধে ফাটল ধরেছে। তাতে তুরতুরিখণ্ড পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে জল ঢুকেছে। দুর্গতদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। হাউড়ি, বাংরি ও তিতি নদীর জলস্ফীতিতে মাদারিহাটের টোটোপাড়া ও হান্টাপাড়া পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মাদারিহাট ব্লক সদর থেকে টোটোপাড়া কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মাদারিহাট-টোটোপাড়া রাজ্য সড়কে মঙ্গলবার ভোর থেকে যানবাহন চলাচল করছে না। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, প্লাবিত হলেও বাসিন্দাদের ত্রাণ দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। জল নেমে গিয়েছে। এদিকে, অতিবৃষ্টিতে কালচিনির মালঙ্গি, ভার্নাবাড়ি ও দলসিংপাড়া এই তিনটি পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে দুপুরের দিকেই জল নেমে যাওয়ায় বাসিন্দা ও ব্লক প্রশাসনের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।