কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলা হাসপাতাল চত্বরে কেপমারি নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। রাতের দিকে হাসপাতাল চত্বরে থাকা রোগীর পরিজনরা দু’চোখের পাতা এক করতে ভয় পান। হাসপাতালে একাধিক বার কেপমারি ও চুরির ঘটনায় অনেকেই নগদ টাকা, গয়না, মোবাইল ফোন সহ দামী সামগ্রী খুইয়েছেন। প্রতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও অবস্থার যে কোনও পরিবর্তন হয়নি এদিনের ঘটনাই তার প্রমাণ। তবে, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের তরফে সিসি ক্যামেরা বসান হয়েছে। শুধু সিসি ক্যামেরা নয়, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাসপাতাল চত্বরে পুলিস ক্যাম্পও রয়েছে। সেখানে দু’জন পুলিস কর্মী সর্বক্ষণের জন্য থাকেন। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে ইমার্জেন্সি, টিকিট কাউন্টার সহ একাধিক জায়গায় হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে। যদিও কেপমারি বা ছিনতাইয়ের ঘটনায় কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টে দিনের পর দিন তা বেড়েই চলছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে এদিন সকালে শিলিগুড়ি শহরের বাসিন্দা সীমাদেবী জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। গর্ভবতী ওই মহিলা প্রথমেই টিকিট কাউন্টারের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতেই তিনি দেখেন তাঁর হাতে ঝোলানো ব্যাগ কেটে মোবাইল, নগদ টাকা ও বেশকিছু কাগজ চুরি গিয়েছে। এরপরই তিনি চিৎকার জুড়ে দেন। সীমাদেবী বলেন, কখন যে ব্যাগ কেটে চোর ওসব নিয়ে পালাল তা বুঝতেই পারছি না। আর কে এমনটা করল সেটাও বুঝতে পারছি না। হাসপাতাল চত্বরে উপস্থিত অন্যান্য রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, জেলা হাসপাতাল চত্বরে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের ভিড়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়েই এই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে দুষ্কৃতীরা। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং পুলিসের এনিয়ে কোনও হেলদোল নেই। তারা বিষয়টি নিয়ে তৎপর হচ্ছে না। এনিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। প্রসঙ্গত, হাসপাতাল চত্বর থেকে ইতিপূর্বে একাধিক সময় কেপমারির ঘটনার পাশাপাশি সাইকেল ও বাইক চুরি হয়েছে। এমনকী প্রকাশ্য দিবালোকে শিশু চুরির মতো ঘটনাও ঘটেছিল। তারপরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেই ঢিলেঢালাই রয়েছে।