রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
এবারের লোকসভা ভোটে কোনও শক্তিশালী সংগঠন ছাড়াই জলপাইগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪ ভোটে জয়ী হয়েছেন। সংসদ সদস্য চিকিৎসক জয়ন্তবাবু লাটাগুড়ির বাসিন্দা হলেও তিনি পেশার তাগিদে শিলিগুড়িতে থাকতেন। তবে লোকসভা নির্বাচনে এবারে বিপুল ভোটে জয়ী হলেও এমপিকে খুব একটা জলপাইগুড়িতে দেখা যায়নি। তিনি কখনও দিল্লি, কখনও শিলিগুড়িতে থেকেছেন। সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান ও দলীয় জেলা কার্যালয়ে কয়েকদিন এলেও দলের অনেকের তাঁর সাক্ষাৎ করার সুযোগ হয়নি। এনিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীরা সমালোচনায় সরব হয়েছেন। এমপিকে জলপাইগুড়িতে ঠিক কোথায় পাওয়া যেতে পারে, তার সঠিক তথ্য দিতে পারেন না দলের নেতারাও। আগের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য জলপাইগুড়ি শহরে তাঁর স্থায়ী সংসদ কার্যালয়ে নিয়মিত বসতেন। এছাড়া জলপাইগুড়ি শহরে নিজস্ব বাড়ি থাকায় প্রাক্তন সংসদ সদস্যর দেখা করতে অনেকেই তাঁর বাড়িতেও যেতেন। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগকে আমল না দিয়ে বলেন, সাতটি বিধানসভা এলাকায় সংসদ সদস্যের অফিস থাকবে। কবে কোথায় তাঁর সাক্ষাৎ মিলবে তা এমপি কার্যালয়গুলিতে আগাম জানিয়েও দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে জলপাইগুড়িতে সাতটি বিধানসভাকে টার্গেট করছে বিজেপি। তাই মূলত জনসংযোগ বাড়াতেই প্রত্যেক বিধানসভা এলাকায় মানুষের পাশে থাকার মধ্যদিয়ে সংগঠনের ভিত মজবুত করা হবে। জলপাইগুড়ির সাতটি বিধানসভার মধ্যে রাজগঞ্জ বাদে সবকটি আসনে জয়ন্তবাবু লোকসভা নির্বাচনে লিড পেয়েছেন। প্রথমবার নির্বাচনে জিতে জয়ন্তবাবু যে রেকর্ড গড়েছেন, ক্ষমতা পেয়ে সেই সমর্থনকে ধরে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এবারে সংসদ সদস্যের জয়ের পিছনে শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ ঢালাও ভোট দিয়েছে। বেকার যুবক যুবতীদের তিনি এখন কতটা দিশা দেখাতে পারেন, তার উপরই নির্ভর করছে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির ফলাফল। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলে বিজেপির সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে, কিন্তু যুব সমাজ হতাশ হয়ে পড়লে আগামী দিনে বিজেপির কাছেও বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটা এত সহজ হবে না। জয়ন্তবাবু নিজেও স্বীকার করেছেন, মানুষের প্রত্যাশা অনেকটাই বেড়েছে। আমরা সাধ্যমতো মানুষের পরিষেবা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাব। জয়ন্তবাবু বলেন, মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন, তাঁদের জন্য আমাকে তো কাজটা করতে হবেই।