কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, নতুন বউ সংসারে আসার পর যেমন মানিয়ে নিতে কিছুটা সমস্যা হয় এটা আমরা জানি। সেক্ষেত্রে নতুন করে যাঁরা বিজেপিতে আসছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিজেপির নীতি আদর্শ সম্পর্কে পরিচিত করানোর পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে এমন কয়েকজনকে আমাদের দলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে যারা এসেই অশান্তি পাকাচ্ছে। বিজেপির নাম করে তারা এসব করছে। কিন্তু এলাকায় কোনওভাবেই অশান্তি পাকানো যাবে না। এটা আমরা সমস্ত স্তরে বার্তা দিয়েছি।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপা চক্রবর্তী তাঁর ফেসবুকের পাতায় লিখেছেন ‘জামা বদলালেই বিজেপি হওয়া যায় না, যাঁরা আসছেন স্বাগত। কিন্তু জামার সঙ্গে চরিত্রটাকেও বদলান, এটা কিন্তু বিজেপি। জয় শ্রীরাম।’ তিনি ফেসবুকে এনিয়ে পোস্ট করতেই নানা ধরনের মন্তব্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই ৭০জন এই পোস্টকে শেয়ার করেছেন। দীপাদেবী বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে অনেকেই বিজেপিতে আসছেন। কিন্তু এটা তাঁদের বুঝতে হবে বিজেপি একটি শৃঙ্খলিত দল। এখানে এসে কোনওরকম অশান্তি তৈরি করা হলে তার দায় তাদেরই নিতে হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে, দীপাদেবীর এই কথার প্রতিধ্বনি জেলা পার্টি অফিসের দেওয়ালে কান পাতলেই এখন শোনা যাচ্ছে। দলের একাংশের মতে ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রবীণ বিজেপি নেতারা পার্টি অফিসে আসতেন। তাঁরাই দলের মধ্যমণি ছিলেন। শুনশান পার্টি অফিস তাঁরাই কার্যত আগলে রাখতেন। কিন্তু বর্তমানে বিজেপি পার্টি অফিসে ভিড় বাড়ছে। অথচ সেই প্রবীণ নেতারা ক্রমশ পিছনের সারিতে চলে যাচ্ছেন। কয়েক মাস আগেও যারা তৃণমূলে থেকে গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের শাসাতেন তারাই এখন বিজেপির পার্টি অফিস আলো করে রয়েছেন। কয়েকজন আবার বিজেপিতে আসার পরেও জেলা পার্টি অফিস এড়িয়ে চলছেন। সমান্তরালভাবে তাঁদের একাংশ আলাদা লবি তৈরি করছেন। এনিয়ে জেলা দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের একজন জেলা নেতার দাবি কোচবিহার ২ ব্লকে জেলা পরিষদের সদস্যকে পেটানোর ঘটনায়, হরিণচওড়াতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলার ঘটনায় বিজেপির নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গোটাটাই বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীদের কাজ। ওরাই দিকে দিকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে কার্যসিদ্ধি করার চেষ্টা করছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কোথাও আবার তাদের দাপাদাপির জেরে বুথস্তরেও বিজেপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। বিজেপির একজন প্রাক্তন জেলা সভাপতিও এনিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে যথেষ্ট উষ্মা প্রকাশ করছেন। দলের একাংশের মতে, অত্যন্ত প্রতিকূলতার মধ্যে তিল তিল করে জেলাতে দলটাকে যাঁরা তৈরি করেছেন তাঁরা যাতে যথার্থ মর্যাদা পান সেটা দেখা অত্যন্ত দরকার। বামফ্রন্ট থেকে তৃণমূলে এসে অনেকেই আদি তৃণমূলীদের কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন। দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে জেলা তৃণমূল। তারাই আবার সুযোগ বুঝে বিজেপিতে ঢুকে পড়ছে। কিন্তু নতুন দলে আসার পরে পুরনো স্বভাবগুলি ছাড়তে পারছেন না। এর জেরেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে।