বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের ট্রাফিক বিভাগের এসিপি প্রবীর মণ্ডল বলেন, বাস ও সিটি অটোর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একই নম্বরের একাধিক অটো চলছে। কোনওক্ষেত্রে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে না। কোনওক্ষেত্রে আবার গাড়ির নথি সঠিক থাকে না। এছাড়াও ট্রাফিক নিয়মের তোয়াক্কা না করেই সেগুলি রুট বদল করে চলার পাশাপাশি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাফেরা করে। সেক্ষেত্রে সোমবার থেকে বাস ও সিটি অটোর বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চলবে। জরিমানা সহ বাস বা সিটি অটো আটক করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
ট্রাফিক নিয়ম ভাঙার তালিকায় নাম রয়েছে বেসরকারি বাস, সিটি অটো, টোটো। বাদ নেই দুই চাকার বাইকও। আর এই নিয়ম ভাঙার খেলাকে কেন্দ্র করে অহেতুক যানজটে স্তব্ধ হচ্ছে শিলিগুড়ি শহর। এক্ষেত্রে শহরকে যানজট মুক্ত করতে পথে নেমেছে ট্রাফিক বিভাগ। প্রথমে বেআইনি টোটোর দৌরাত্ম্যে ইতি টানার কাজ শুরু হয়। তাতে ব্যাপক সাড়া মেলে। বেআইনি টোটোর দাপট কমতেই শহরের যানজট সমস্যা অনেকাংশেই কমেছে। তবে একশো শতাংশ সাফল্য পেতে এবার সিটি অটো এবং টোটোর দাপটে ইতি টানতে তৎপর পুলিস। সিটি অটোর ক্ষেত্রে চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির নথিপত্রের কোনও একটিতে যদি খামতি থাকে সেক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে। এছাড়াও যদি গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত কোন সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তার করা হতে পারে চালককে। পরীক্ষা করা হবে প্রতিটি গাড়ির কাগজপত্র। বেসরকারি বাসগুলির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
শিলিগুড়ি সিটি অটো অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন, আমরাই পুলিসে সমস্ত তথ্য দিয়েছিলাম। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান হবে। আমরাও চাই বেআইনিভাবে যেসব অটো চলে তা যেন বন্ধ হয়ে যায়।