কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এই ঘটনার পরেই সংঘর্ষটি রাজনৈতিক মোড় নিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, হাকিমুদ্দিন তাদের দলের সক্রিয় কর্মী। লোকসভা ভোটে তিনি দলের হয়ে প্রকাশ্যেই খাটাখাটনি করেছিলেন। তাঁদের জমি নিয়ে সমস্যার কথা তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে বহুবার জানানো হলেও ইচ্ছে করেই তা জিইয়ে রাখা হয়েছিল। ওই ইস্যু নিয়ে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে এটি নিছকই পারিবারিক বিবাদ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জখম হাকিমুদ্দিন বলেন, আমি বিজেপি করি। দাদারা তৃণমূল করে। জমি নিয়ে দাদার সঙ্গে বিবাদ ছিল ঠিকই। কিন্তু এদিন বিজেপি করি বলেই আমার উপরে হামলা করা হয়েছে। তৃণমূল প্রধানের স্বামীর সামনেই আমার উপরে হামলা চালানো হয়েছে। বিজেপির জেলা কমিটির সম্পাদক সুবোধ মজুমদার বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে ওই এলাকায় বিজেপির ভোট বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর থেকে তৃণমূল নানা ভাবে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ওপরে অত্যাচার করছে। বিজেপি করে বলেই হাকিমুদ্দিনের উপরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। জমি নিয়ে ওদের পরিবারের বিবাদকে ওরা ইস্যু করেছে। অপর পক্ষে জখম কলিমুদ্দিনের ছেলে মহম্মদ রেজ্জাক বলেন, আমরা তৃণমূল করি, এটা ঠিক। কিন্তু এই দিনের ঘটনা রাজনৈতিক নয়। জমি নিয়ে বিবাদের জেরে হয়েছে। আমাদের উপরে ওরা হামলা করেছে।
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আজাহারউদ্দিন বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে পুরনো বিবাদে এই দিন ওই সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। বিজেপি রাজনীতি করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ তুলেছে। মাঝিয়ালি পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সোহরবানুর স্বামী মহম্মদ হামিদুল বলেন, আমি অন্য প্রয়োজনে ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। হঠাৎ আমার সামনে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে আমার কোনও ভূমিকাই ছিল না।
ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে জমি নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে। এলাকায় পুলিস গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মী হাকিমুদ্দিন ও তাঁর দাদা তৃণমূল কর্মী কলিমুদ্দিনের মধ্যে চা বাগানের এক টুকরো জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকেই বিবাদ চলছে। জমিটি কলিমুদ্দিনের দখলে আছে। জমিতে চা গাছ আছে। স্থানীয় পঞ্চায়ে সদস্যরা বিষয়টি জানে। মিটমাট করার জন্য পঞ্চায়েত সদস্যদের কয়েক বার জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনও উদ্যোগ নেয়নি। ওই ঘটনা নিয়ে এদিন সংঘর্ষ বেধে যায়।
এদিন সকালে কলিমুদ্দিনের ছেলে জমিতে ওষুধ স্প্রে করছিল। সেসময় হাকিমুদ্দিন প্রতিবাদ করে। এতে দুই পক্ষই রাস্তায় জমা হয়। বচসা বাধে। দুই পরিবারের সদস্যরা একে অপরের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনজন জখম হয়। আরও কয়েকজন সামান্য জখম হয়েছেন তাঁরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করেছে।