কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, ভাঙা রাস্তা দিয়ে ২০টি গ্রামের বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনেরাতে চলতে হচ্ছে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই এদিন রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ করা হয়। রাস্তায় টায়ার ফেলে আগুন জ্বালিয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখাই। প্রশাসনের কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন, শীঘ্রই রাস্তা সংস্কারে তাঁরা উদ্যোগ নেবেন। কাজ না হলে ফের আন্দোলনে নামা হবে।
চাঁচল-১ ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের পপি দাস বলেন, পৌড়িয়া থেকে গালিমপুর যাওয়ার রাজ্য সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে রয়েছে। মানুষ প্রতিদিন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছেন। আমরা একবছর হল গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছি। ওই রাস্তাটি বহু আগে থেকেই ভেঙেচুরে আছে। রাস্তা সংস্কারের দাবি তুলে গ্রামাবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা ওঁদের বুঝিয়েছি। শীঘ্রই রাস্তার কাজ করা হবে।
চাঁচল-১’র বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য বলেন, পৌড়িয়ায় রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অবরোধ হয়েছিল। এলাকাবাসীদের সমস্যা সমাধানে স্থানীয় প্রধান যুগ্ম বিডিও গিয়েছিলেন। রাস্তার সমস্যা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূও হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা ভাঙা রাস্তা সংস্কারের চেষ্টা করব।
চাঁচল-১ ব্লক সদরের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পৌড়িয়া থেকে গালিমপুর যাওয়ার প্রায় ছ’কিমি পিচ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল হয়ে আছে। ওই রাস্তা দিয়ে ২০টির গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা প্রতিদিন ব্লকে যাতায়াত করেন। রাস্তাটি বেশ কয়েক বছর ধরেই ভেঙেচুরে আছে। দুর্বিসহ যন্ত্রণা নিয়েই বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তার গর্তে জল জলে বিপদ ঘটায়। মোটর বাইক সহ টোটো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ভাঙা রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা আসতে চান না। ফলে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যা হয়। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল সহ জরুরি কাজে সবসময়তেই বাসিন্দাদের চাঁচল মহকুমা সদরে যেতে হয়। কিন্তু এই ভাঙা রাস্তাই তাঁদের অতিক্রম করতে হয়। নিয়মিত এই সমস্যা থেকেই বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে। এদিন সকালে বাসিন্দারা বিভিন্ন গ্রামে মাইকে করে প্রচার চালিয়ে সকাল ৯টার মধ্যে সেখানে জমায়েত হন। পরে সাড়ে ৯টা নাগাদ পৌড়িয়া-ভীমপুর গ্রামে মাঝ রাস্তায় গাছের ডাল, বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। এদিন বাসিন্দাদের আন্দোলনের জেরে সকাল থেকেই চাঁচলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। প্রচুর যাত্রী গরমের মধ্যে অবরোধের আটকে দুর্ভোগে পড়েন। চাঁচল-মতিহারপুর রাজ্য সড়কে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পরে পঞ্চায়েত সদস্য এবং যুগ্ম বিডিও এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।