কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এমপি’র সঙ্গে যে সহজে যোগাযোগ করা যায় না মানছেন দলের জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভাও প্রকারান্তরে স্বীকার করে নেন নিশীথকে নিয়মিত ফোনে পাওয়া যায়না। তিনি বলেন, এমপিকে মাঝেমধ্যে ফোনে পাই। তবে তিনি সংসদ সদস্য। দিল্লিতে ব্যস্ত থাকেন। এটাও বুঝতে হবে। সম্প্রতি রীতিমতো রাজকীয় মুকুট পরে নিশীথবাবু সংসদ ভবনে গিয়েছিলেন। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে যায়। ফেসবুকে, টিভিতে তাঁকে দেখছেন বাসিন্দারা। কিন্তু বাস্তবে কোচবিহারের সংসদ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বাসিন্দাদের কালঘাম ছুটছে। এর জেরে সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। তাঁর পুরনো সতীর্থদের মতে তৃণমূলে থাকাকালীনও সহজে তাঁর নাগাল পাওয়া যেত না। কার্যত অন্তরালে থেকেই তিনি রাজনীতি চালিয়ে যেতেন। নিজে আড়ালে থেকেও অবশ্য আপদে বিপদে বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এদিকে বিজেপিতে আসার পরেও তাঁর নাগাল পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসের বিভিন্ন জায়গায় নিশীথবাবুর ফোন নম্বর সাদা কাগজে লিখে টাঙানো রয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের মতে, জেলা সভাপতিকে সহজে পাওয়া গেলেও নিশীথবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যথেষ্ট কঠিন। এমনকী জেলায় দলের অধিকাংশ কর্মসূচিতেই সংসদ সদস্যের দেখা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। তিনি কোচবিহারে থাকলে হাজরাপাড়ায় তাঁর ভাড়া বাড়ির সামনে ভোর থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে যায়। সূর্য মধ্য গগনে চলে গেলেও অনেকেই নিশীথবাবুর দেখা পান না বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগ, দলীয় কর্মসূচিতেও নিশীথবাবু নির্দিষ্ট সময়ে আসেন না। কোচবিহার শহরের বিজয় মিছিলেও প্রায় শেষ লগ্নে নিশীথবাবু অংশ নিয়েছিলেন। অন্যদিকে নিশীথবাবুকে ঘিরে সর্বদা আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের নিরাপত্তা বলয় থাকে। এর জেরেও সাধারণ বাসিন্দারা তাঁর কাছে ঘেঁষতে পারেন না। পার্টি অফিসে এলেও দলীয় নেতা কর্মীদের ইচ্ছা থাকলেও মন খুলে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারেন না। তবে নিশীথবাবুর অনুগামীদের দাবি, তাঁকে নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এমপি হওয়ার পর সেই ব্যস্ততা আরও বেড়েছে। বর্তমানে তিনি সংসদের কাজে দিল্লিতে থাকার জন্য তাঁর সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে তিনি জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের খবর রাখেন।