কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীবালা রায়, মামনি ছেত্রি, রিনা বিশ্বাসরা বলেন, আমরা বাঁদরের ভয়ে দিনে যেমন আতঙ্কে থাকি, তেমনি রাতেও এলাকায় বাঁদরগুলি সমান তালে অত্যাচার করে বেড়ায়। বাড়ির রান্না করা সবজি পর্যন্ত খেয়ে নষ্ট করে দিচ্ছে। কী করব আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। বার বার বনদপ্তরকে বলা হয়েছে কিন্তু কেউই আমাদের রক্ষা করতে আসেনি। আমাদের এলাকার কয়েকজনকে বাঁদরে কামড়েও দিয়েছে । আমরা চাই বনদপ্তর বাঁদর তাড়ানোর ব্যবস্থা করুক।
এলাকার পরিবেশ প্রেমী সংস্থার কর্ণধার অনির্বাণ মজুমদার বলেন, বাঁদরের অত্যাচারের জন্য বনদপ্তর যেমন দায়ী, তেমনি রিসর্টগুলিও দায়ী। জঙ্গলে বাঁদরের খাবারের অভাব তাই জঙ্গল থেকে তারা বেরিয়ে আসছে। এদিকে রিসর্টগুলি তাদের খাবার বাইরে ফেলে দিচ্ছে। সেই খাবার খেয়ে বাঁদররা অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। যখন খাবার পাচ্ছে না তখন জন্তুগুলি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। বাসিন্দারাও বিরক্ত হয়ে কয়েকটি বানরককে মেরেও ফেলেছে বলে অভিযোগ। আমরা চাই বনদপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
গোরুমারা দক্ষিণ রেঞ্জের রেঞ্জার অয়ন চক্রবর্তী বলেন, বাঁদরের দলকে আটকাতে রিসর্টগুলিকেও ভূমিকা নিতে হবে। তারা যে খাবার ফেলে দিচ্ছে তা ফেলা যাবে না। বাঁদর মারা হচ্ছে কিনা জানা নেই। কিন্তু গোপনে কেউ যদি তা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্টেশনপাড়া, মহালক্ষ্মী কলোনি, নেওড়াও মোড়, নতুন পাড়া ও পূর্ব লাটাগুড়ি এই সমস্ত এলাকায় সব মিলিয়ে সংখ্যায় অন্তত ৩০০০ বাঁদরের পাল দাপিয়ে বেড়ায়। এক একটি পাড়াতে প্রায় দুই থেকে আড়াশো বাঁদর ঘুরে বেড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় যদি কেউ খাবার নিয়ে বের হয়। সেটা যদি বাঁদরের চোখে পড়ে তাহলে কেল্লা ফতে। তার হাত থেকে ছিনিয়ে সেই খাবার খেয়ে নেয়। এছাড়াও কেউ যদি লাঠি নিয়ে বাঁদরকে তাড়া করে তাহলে সেই বাদরের পাল দাঁত খিঁচিয়ে উলটে তাদের দিকেই তেড়ে আসে। ভুল করে কেউ যদি রান্না ঘর খোলা রেখে থাকেন তাহলে তো আর কথাই নেই। নিমেষের মধ্যে সব লণ্ডভণ্ড করে দেয় বাঁদরের দল।