গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক আশিস কুণ্ডু বলেন, ভোটের জন্য দপ্তরের কর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন। এবার আমরা অভিযানে যাব। অনেকবার টোটো চালকদের সচেতন করেছি। মাইকিং করা থেকে ব্যানার ঝোলানো সবই হয়েছে। কিন্তু টোটো চালকরা কথা শুনছেন না। এবার আমরা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
জেলার বালুরঘাট শহরেই তিন হাজারের বেশি টোটো চলে। এছাড়াও গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর শহর মিলে সাড়ে চার হাজারের উপরে টোটো চলাচল করে। সব মিলিয়ে জেলায় ১০ হাজারের বেশি টোটো চলছে। এদের মধ্যে ৮০ শতাংশের উপরে টোটো লাইন্সেস ছাড়াই শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই সারাদিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরেও নতুন নতুন টোটো নামছে। জেলাজুড়ে নিত্যদিন টোটোর সংখ্যা বাড়ায় বিভিন্ন রাস্তায় যানজট এখন প্রতিদিনকার রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। টোটো দুর্ঘটনার কবলেও পড়ছে। অধিকাংশ টোটোর বিমা নেই। দুর্ঘটনা ঘটলে তাই জখম যাত্রীরা ক্ষতিপূরণ পান না। তাই এসব টোটোয় রাশ টানতে পরিবহণ দপ্তর উদ্যোগ নিয়েছিল। ই-রিকশর বিমা যেমন হবে তেমনি এটি টোটোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। প্রশাসন স্থির করেছিল যেসব টোটো টিন ছাড়াই চলছে সেসব টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে। যাতে পুরনো টোটো বদলে সরকারি আইন মেনে তৈরি টোটো কিনে তাতে টিন নম্বর জোড়া হয় সেকথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ৩১ মে’র মধ্যে কেউই তাতে আগ্রহ দেখায়নি। তাই জেলাজুড়েই অবাধে চষে বেড়াচ্ছে বেআইনি টোটো। এদিকে জুন মাস শেষ হতে চললেও এনিয়ে প্রশাসনের কোনও ধরপাকড় নেই বলে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে রোজ টোটোর যানজটে বিভিন্ন রাস্তায় চলাচল করা মুস্কিল হয়ে পড়েছে। তাই প্রশাসনের এমন গাছাড়া মনোভাবে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী। ধরপাকড় তো দূরের কথা প্রতিদিনই টোটোর সংখ্যা ক্রমশ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর থেকে ই-রিকশর লাইন্সেস দেওয়া হচ্ছে। ওসব লাইন্সেস, নম্বর দেখিয়ে তার বিমাও করে দেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছিল, যারা আগেই টিন নম্বর পেয়েছে তাদের ৩১ মে’র মধ্যে স্থানীয় ই-রিকশ ডিলারদের কাছে টোটো বদলে নিতে হবে। টিন নম্বর পাওয়া টোটোই বৈধ, বাকি সমস্ত টোটো বাজেয়াপ্ত করা হবে। আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের এমন নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসার পর জেলাবাসী ভেবেছিল এবার টোটোর দাপাদাপি কমবে। কিন্তু তা বাস্তবে কিছুই হল না।