গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এর আগে মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধানকে হুমকি চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছিল। এনিয়েও রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। বিধায়ককে হুমকি চিঠি দেওয়ার পরই হলদিবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বাড়ির দেওয়ালে হুমকি পোস্টার লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। জীতেনবাবুর অভিযোগ, কয়েকদিন আগে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর দোকান ভাঙচুর করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় কয়েকজনের নামে। এরপরই বিজেপির সেই দুষ্কৃতীরা নানাভাবে তাঁকে হুমকি দিয়ে আসছিল। জীতেনবাবু বলেন, আমি বিজেপির দুষ্কৃতীদের সেই হুমকিকে তেমন পাত্তা দেইনি। কিন্তু এদিন আমার বাড়িতে এসে রাতের অন্ধকারে হুমকি পোস্টার লাগানোর পর পরিবারকে নিয়ে নিরাপত্তার অভাববোধ করছি। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আমার বাড়িতে হুমকি পোস্টার লাগিয়েছে। আমি ঘোকসাডাঙা পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। নিজের দলের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির বাড়িতে হুমকি পোস্টার লাগানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। বিনয়বাবু বলেন, আমাদের বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সহ জনপ্রতিনিধিদের হুমকি দিয়ে কি প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা? আমি মনে করি এধরনের ঘটনায় শুধু স্থানীয় দুষ্কৃতীরা জড়িত নয়, এর সঙ্গে বিজেপির বড় মাথারাও রয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সহ সভাপতি প্রতাপ সরকার। তিনি বলেন, বিজেপির নামে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বদনাম করার চেষ্টা করছে তৃণমূলের লোকজন। আমাদের কেউ জীতেন বর্মনের মতো তৃণমূল নেতার বাড়িতে হুমকি পোস্টার দিতে যাবে কেন? জীতেন বর্মনের মতো লোকের কোনও গুরুত্ব নেই আমাদের কাছে।