পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগরাকাটার বাসিন্দা কেন্দ্রা মুণ্ডাকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন জামাইবাবু বুধুয়া মুণ্ডা। দিদি জামাইবাবুর বাড়িতেই কেন্দ্রা বহু বছর ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। চা পাতা তোলার কাজ করে তারা জীবিকা নির্বাহ করছিল। রাতে একই ঘরে বুধুয়াবাবু ও কেন্দ্রা ঘুমিয়েছিল। পাশের ঘরে তাদের দু’জনেরই স্ত্রী ও সন্তানরা শুয়েছিলেন। রাতে হঠাৎ তাদের স্ত্রীরা পাশের ঘর থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে গিয়ে দেখেন কেন্দ্রা জামাইবাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চলেছে। সেসময় কেন্দ্রার স্ত্রী গুণী মুণ্ডা ও বুধুয়াবাবুর স্ত্রী সুধাই মুণ্ডা বাধা দিলে অভিযুক্ত তাঁদের উপরও চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর বুধুয়াবাবুর ছেলে ও অভিযুক্তের মেয়ে এলেও তাদেরও সে একইভাবে আঘাত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে জখমদের হাসপাতালে পাঠায়।
এদিন সকালে পুলিস জানতে পারে রামশাই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের একটি শৌচাগারে কেন্দ্রা অস্ত্র সহ লুকিয়ে রয়েছে। দমকল কর্মীরা গিয়ে ওই শৌচাগারে অনবরত জল স্প্রে করতে থাকে। এরপর দরজা খুলে কেন্দ্রা অস্ত্র নিয়ে পুলিসের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিস ও র্যা ফ বহু কষ্টে তাকে ধরতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় ময়নাগুড়ি থানার এক পুলিস আধিকারিক শিশির সরকারের আঙুলে চোট লাগে। ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস বলেন, জামাইবাবুকে খুনের অভিযোগে কেন্দ্রা মুণ্ডা নামে একজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। তাকে আদালতে তুলে রিমান্ডে নেওয়া হবে। ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা চলছে।