বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলার ডেপুটি পুলিস সুপার ধীমান মিত্র বলেন, হাসপাতালে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হাসপাতালে বাড়তি পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা রয়েছে। বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, নিন্দনীয় ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কেন এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার মধ্যেই এবারের চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীর বন্ধুদের মারধর করবার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা সামনে আসতেই বালুরঘাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জমেছে। এর আগেও বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাংশ নিরাপত্তা রক্ষীর বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। এবার মারধর করে রোগীর পরিজনকে জখম করে দেওয়ার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বালুরঘাট সদর হাসপাতালেই ইমারজেন্সি পরিষেবা চালু রয়েছে। সেটি এখনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি। শনিবার রাতে দুর্ঘটনায় জখম রোগীকে তাঁর বন্ধু্রা নিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিযোগ ওই যুবকরা বন্ধুর চিকিৎসা নিয়ে আপত্তি তুলে চিৎকার চেঁচামেচি করায় প্রতিবাদ জানান হাসপাতালের এক কর্মী। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। ঝামেলা হয়েছে এমনটা আঁচ পেয়ে ছুটে আসে নিরাপত্তা রক্ষীরা। ওই রক্ষীরা এসে যুবকদের বেধড়ক মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই রোগীর বন্ধুরাই হাসপাতালের কর্মীর উপর চড়াও হয়েছিলেন। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে পৌঁছয় ডেপুটি পুলিস সুপার, বালুরঘাট থানার আইসি সহ বিশাল পুলিস বাহিনী। ঘটনার আঁচ যাতে অন্য কোনও হাসপাতালে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে জেলার অন্য হাসপাতালেও পুলিস মোতায়েন করা হয়। রোগীর পরিবার ও বন্ধুদের তরফে যাতে আর কেউ এসে হাসপাতালে গণ্ডগোল জুড়ে না দেয় সে কারণে শহরজুড়ে নাকা চেকিং বসিয়ে নজরদারি শুরু হয়। ঘিরে ফেলা হয় পুরো হাসপাতাল চত্বর। পুরো ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।