কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতভর ভুটান পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাদারিহাটের সুকৃতি, বান্দাপানি, সুখা, তিতি, বাংড়ি, হাউড়ি, দয়ামারা ও চারো পাহাড়ি এই নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠে। এই নদীগুলিতে কোথাও সেতু বা বাঁধ নেই। নদী বেস্টিত সবক’টি চা বাগানই অসংরক্ষিত। ফলে ফুলে ফেঁপে উঠা এই নদীগুলির জলই রবিবার ভোরে ঢুকে পড়ে মাদারিহাট ব্লকের বীরপাড়ায় থাকা ওই চা বাগানগুলিতে।
এদিন সকালে সুখা নদীর জলে বীরপাড়া বাজারের একাংশও প্লাবিত হয়। এদিকে, হাউড়ি, বাংড়ি, দয়ামারা ও তিতি নদীর জলে প্লাবিত হয় টোটোপাড়া-বল্লালগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। গত শুক্রবার বাংড়ির জলের তোড়ে হান্টাপাড়ায় উড়ে যায় মাদারিহাট-টোটোপাড়া রাজ্য সড়কের ১০০ মিটার অংশ। তাতে মাদারিহাট সদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় টোটোপাড়া।
শনিবার ব্লক প্রশাসন অবশ্য যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে রাজ্য সড়কের ভাঙা অংশ সারাই করে মাদারিহাট-টোটোপাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করেছে। তবে রবিবার সকালের মধ্যেই বীরপাড়া বাজার, টোটোপাড়া ও চা বাগানগুলি থেকে জল নেমে গেলে বাসিন্দাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
মাদারিহাটের বিডিও শরণ তামাং বলেন, মূলত ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির জেরেই নদীগুলির জল কয়েকটি চা বাগান ও টোটোপাড়ায় ঢুকে পড়ে। তবে সকালেই জল নেমে গিয়েছে। ফলে জলবন্দি বাসিন্দাদের ত্রাণ দেওয়ার মতো কোন পরিস্থিতি হয়নি। রাজ্য সড়কের ভাঙা অংশ মেরামত করে মাদারিহাট-টোটোপাড়া রাজ্য সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করা হয়েছে।
এদিকে ডোকসা নদীর জলে কুমারগ্রামের তুরতুরিখন্ড পঞ্চায়েতের হাতিপোতা, নয়াবস্তি ও ভুটিয়াবস্তি এলাকা রবিবার সকালের দিকে জলমগ্ন হয়। নয়াবস্তি বাদে অন্য এলাকা থেকে অবশ্য জল সকালেই নেমে যায়। সন্ধ্যায় নয়াবস্তির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান কুমারগ্রামের বিডিও লাকপা ভুটিয়া। বিডিও বলেন, উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু হয়নি। আসলে ভুটানের বৃষ্টিতে ফুলে উঠে ডোকসা নদীর জল ব্লকের তিনটি এলাকা প্লাবিত করে। নয়াবস্তি থেকে জল নামতে দেরি হয়েছে। নয়াবস্তির দুর্গতদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের দামসিবাঁধ, শামুকতলা ও তুরতুরি এলাকাও এদিন ভুটানের জল ঢুকে পড়ে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সব এলাকা থেকেই জল নেমে যায়। সেচ দপ্তরের জেলা নির্বাহী বাস্তুকার নীরজ সিং বলেন, শনিবার রাতে সমতলে আহামরি বৃষ্টি হয়নি। মূলত ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টির দরুনই নদীগুলির জল মাদারিহাট, আলিপুরদুয়ার-২ ও কুমারগ্রামের কয়েকটি এলাকায় ঢুকে পড়ে।