পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
এদিন রায়গঞ্জ শহরের বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানেরও বহির্বিভাগ ও চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ ছিল। বালুরঘাটে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল সংলগ্ন চত্বরে চিকিৎসকদের চেম্বারগুলি বন্ধ ছিল। দুপুরে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের একটি মিছিল বের হয়। সন্ধ্যায় চিকিৎসক ও চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন মানুষ হাসপাতাল থেকে শিলিগুড়ি মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন। তবে দুই জেলাতেই এদিনের ধর্মঘটে ইনডোর পরিষেবায় কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি।
এদিন সকালে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় বর্হিবিভাগে রোগী দেখার জন্য টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রোগীরা সেই টিকিট নিয়ে হাসপাতালের দোতলায় গেলে সেখানে চিকিৎসকেরা বসেননি। তাঁরা জরুরি বিভাগের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে কয়েকজন চিকিৎসক রোগী দেখতে থাকেন।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল দিলীপ পাল বলেন, বিভিন্ন বিভাগের দশ-বারো জন চিকিৎসককে ইমারজেন্সি বিভাগে বসিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখা হয়েছে। ইসলাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার নারায়ণ মিদ্যা বলেন, বহির্বিভাগে চিকিৎসকরা ছিলেন না। তবে ইমারজেন্সি ও ইনডোর সহ অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, জেলা হাসপাতাল ও বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে প্রতীকী হিসাবে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। ১১টার পর বহির্বিভাগে রোগী দেখা হয়।
এদিকে এদিন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে রোগী ও তাঁদের পরিবারকে চরম নাকাল হতে হলেও কর্তৃপক্ষ অবশ্য তা স্বীকার করেনি। উত্তর দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা বলেন, জেলার কোনও হাসপাতাল থেকেই রোগীরা পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যাননি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে বলেন, জেলার প্রতিটি হাসপাতালে চিকিৎসকেরা পরিষেবা দিয়েছেন। হয়তো কোথাও বহির্বিভাগ খুলতে দেরি হয়েছে। আমি প্রতিটি হাসপাতালে নজরদারি চালিয়েছি। কোনও রোগী যেন হাসপাতাল থেকে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাননি।
এদিন সকালে রায়গঞ্জ সুপার স্পোশালিটি হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ইমারজেন্সি বিভাগের সামনে বিরাট লাইন পড়েছে। সেখানে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসকদের দেখানোর জন্য লাইন দিয়ে রয়েছেন। জরুরি বিভাগের একটি ঘরেই সমস্ত চিকিৎসকেরা বসে রোগী দেখায় প্রচুর ভিড় হয় সেখানে। ভিড় সামাল দিতে নিরাপত্তা রক্ষীদেরও সমস্যা পড়তে হয়। ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালেও গ্রাম থেকে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় হরিরামপুর, কুশমণ্ডি, রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে বহির্বিভাগ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকলেও পরে সেগুলি চালু হয়। গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সকালে কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদে শামিল হন।