কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সমেরেন্দ্র খাঁড়া বলেন, একাঙ্গি চাষে ব্যাপক লাভ রয়েছে। কৃষকরা যাতে এই চাষ করে আরও লাভবান হন সেই দিক নজর দিয়ে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। চাষে যাবতীয় পরামর্শ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। বিক্রির ব্যবস্থাও আমরা করে দিচ্ছি। তপন ব্লকের চেচর এলাকার এক কৃষক কৌশক দাস বলেন, উদ্যান পালন দপ্তরের তরফে আমাদের একাঙ্গি চাষের যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দুই বিঘে জমিতে একাঙ্গি লাগিয়েছি।
একাঙ্গি হল এক ধরনের কন্দ জাতীয় ভেষজ। এই গাছ দেখতে অনেকটা কচুরিপানার মতো। এটি চন্দ্রমূলী নামেও পরিচিত। এক বিঘে জমিতে চাষ করে এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাভ রয়েছে। যা অন্য ফসলের থেকে দ্বিগুণ লাভজনক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দীর্ঘ বছর আগে এই চাষ কৃষকরা করতেন। তবে তা বিক্রির কোনও ব্যবস্থা জেলায় না থাকায় তারা চাষ প্রায় বন্ধ করে দেন। তবে কয়েক বছর ধরে নদীয়া, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে কৃষকদের কাছ থেকে একাঙ্গি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবে বিক্রির আর চিন্তা না থাকায় ফের এই চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখ মাসে এই গাছের চারা লাগানোর সঠিক সময়। আলু চাষের মতো জমি তৈরি করে একাঙ্গির বীজ (কন্দ) বসাতে হয়। বীজ বসানোর ১৫ দিনের মাথায় চারা বের হয়। এক বিঘে জমিতে এক কুইন্টাল বীজ লাগে। এক কুইন্টাল বীজের দাম দশ হাজার টাকা। ফলন হতে ১০ মাস সময় লাগে। এক বিঘে জমিতে ২৫-৩০ কুইন্টাল ফলন হয়। মূলত এর কাঁচা কন্দের বাজার মূল্য কেজি ৫০ টাকা। শুখনো হলে তা ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হয়। একাঙ্গি ওষুধ হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। মাছ ধরার চার হিসাবেও এর চাহিদা রয়েছে। একাঙ্গির তেল সুগন্ধি তৈরিতে, মশলা তৈরিতে, খুসকি দূর করতে ব্যবহার হয়। সর্দি, মাথাধরা, ম্যালেরিয়া, বাত, চোখ ও গলার সমস্যাতেও নানা ওষুধ তৈরিতে এর ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া পানের সঙ্গে চিবিয়েও অনেকে খায়। জেলাজুড়ে আগামী যাতে এই চাষ করে কৃষকরা আরও লাভবান হতে পারে সেদিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে।