কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ফলে সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে তপসিখাতার ওই গ্রামগুলিতে। সন্ধ্যা নামলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঘরের দরজা জানালা। ঘরের বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়েছে বাচ্চাদের। সাবধানতা নিতে দল বেঁধে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাত পাহারাতেও নেমেছেন গ্রামবাসীরা। এমনকী ছেলে ধরা ওই ব্যক্তিকে ধরতে মঙ্গলবার রাতে গ্রামগুলিতে পুলিসি টহলও চলছে।
আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বুধবার বিস্তারিতভাবে বিষয়টি লিখিতভাবে আলিপুরদুয়ার থানাতেও জানিয়েছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, অজ্ঞাতপরিচয় ওই ছেলে ধরা ব্যক্তিকে ধরতে পুলিস দ্রুত ব্যবস্থা নিক। গ্রামবাসীদের একাংশের আবার দাবি, কিডনি পাচারের লক্ষ্যেও বাচ্চাদের তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাচারচক্রের কোন দুষ্কৃতী গ্রামে হানা দিতে পারে।
গ্রামবাসীদের এই আতঙ্ক ও দাবির বিষয়ে আলিপুরদুয়ারের এসডিপিও শ্রীকান্ত জে ইয়ালাদ বলেন, ছেলে ধরা গুজবের ঘটনার তদন্ত চলছে। আতঙ্কিত গ্রামগুলিতে রাতে এমন কি দিনের বেলাতেও পুলিসের মোবাইল ভ্যানের টহলদারি চলছে। রহস্যময় ওই ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার রাতে হরিসেবাটারি গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক অজিত রায়ের সাড়ে তিন বছরের কন্যা সন্তানকে শোওয়ার ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আতঙ্কিত অজিতবাবু বলেন, মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ শোওয়ার ঘরের বেড়া ফাঁক করে আমার কন্যাকে ওর মায়ের কোল থেকে রহস্যময় এক ব্যক্তি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অচেনা ওই ব্যক্তির পা টেনেও ধরেছিলাম। কিন্তু অন্ধকারে দরজা খোলার পর দেখি ঘরে সেই ব্যক্তি নেই। ঘরের ভিতর সব জিনিসপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে। পাটকাপাড়া চা বাগানের অর্জুন লাইনের বাসিন্দা রাজু মুন্ডাও কয়েক দিন আগে রাতে ওই অজ্ঞাতপরিচয় ভুতুরে ব্যক্তিকে ঘরের পিছনে দেখতে পেয়ে ধরার জন্য ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা ওই ব্যক্তি মুহূর্তের মধ্যে উধাও হয়ে যায় বলে পাটকাপাড়া বাগানের ওই যুবকের দাবি।
উত্তর পাটকাপাড়ার যুবক ঋষিকেশ রায় বলেন, গত ১৫ দিনে ভুতুরে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে গ্রামে প্রায় ৭-৮টি ঘটনা ঘটেছে। রহস্যময় ওই ব্যক্তি কে বুঝতে পারছি না। আমরা গ্রামবাসীরা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। তপসিখাতা পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের টুম্পা সাহা বলেন, অমার পঞ্চায়েতের ওই গ্রামগুলিতে ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়েছে। কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পুলিসকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে বলেছি।