পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার পুরসভার পরবর্তী ভোট কবে হবে তার এখনও ঠিক নেই। কিন্তু তাতে অবশ্য রাজনৈতিক দলগুলি চুপ করে বসে নেই। বিশেষ করে বিজেপি ভোটের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন পুর ভোটে একেবারে নতুন তরুণ মুখকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলারই আমাদের দলে আসার জন্য যোগাযোগ করছেন। কিন্তু দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলার দলে আসতে চাইলে তারা অবশ্যই স্বাগত। কিন্তু তাদের পুর ভোট টিকিট দেওয়া হবে না। এর কারণ হিসাবে গঙ্গাপ্রসাদবাবুর দাবি, বুথ ভিত্তিক আলোচনায় সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে দল বুঝতে পেরেছে মানুষ এখন তৃণমূল কাউন্সিলারদের প্রতি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। মানুষ তৃণমূল কাউন্সিলারদের আর সহ্যই করতে পারছেন না। সে জন্য পুর ভোটে দল নতুন তরুণ মুখকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার টাউন ব্লক সভাপতি তথা বিদায়ী পুর বোর্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, এসব বিজেপি’র অপপ্রচার। আমাদের প্রাক্তন কোনও কাউন্সিলারই গেরুয়া শিবিরে যাচ্ছেন না। আসলে লোকসভা ভোটের পর আলিপুরদুয়ারে বিজেপি’র নেতারা অতি উৎসাহিত হয়ে পড়েছেন। তাই এসব বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চলছে।
বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার টাউন মন্ডল কমিটির দাবি, পুর ভোটের টিকিটের জন্য তৃণমূলের প্রাক্তন বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার কলকাতায় গিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও দলীয় নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু দলের রাজ্য নেতৃত্ব তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলারদের কলকাতা থেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাদের বলা হয়েছে, দলে আসতে হলে আলিপুরদুয়ারে ফিরে গিয়ে দলের বুথ ও মণ্ডল কমিটির কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার টাউন মন্ডল কমিটির সভাপতি অমিতাভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলারদের আসলেই টিকিট দেওয়া যাবে না। তৃণমূলের কাউন্সিলারদের টিকিট দিলে আলিপুরদুয়ারের মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের পুর ভোটে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস ছ’টি করে এবং বামেরা আটটি ওয়ার্ড দখল করেছিল। বোর্ড গঠনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলারদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে পুর বোর্ড গঠন করে বামেরা। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই কংগ্রেসের ছ’জন কাউন্সিলরকে ভাঙিয়ে পুর বোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল। পরে বামেদের আরও পাঁচ কাউন্সিলার তৃণমূলে যোগ দেন।