রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ভাড়া করা ছোট গাড়িতে হাসিমারা থেকে কাজ সেরে তাঁরা ফিরছিলেন। টাওয়ারের ওই কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে মিঠুন দত্তের এই গাড়িটি ভাড়া করেই কাজে বাইরে যেতেন। মঙ্গলবারও তাঁরা সেই গাড়ি নিয়ে কাজে বের হয়েছিলেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টাওয়ারের কাজ সেরে ফেরার পথে লাটাগুড়ি-ময়নাগুড়ি জাতীয় সড়কে বিএড কলেজের সামনে একটি গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে মিঠুন গাড়ি নিয়ে সজোরে একটি গাছে ধাক্কা মারে। এতে দুমড়ে মুচড়ে সেই গাড়িতেই সকলে আটকে পড়েন। ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা খবর পাননি। সকাল হতে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই দুর্ঘটনার খবর জানতে পারেন। তারাই দুর্ঘটনার খবর দমকল ও পুলিসকে জানান। দমকল কর্মীরা এসে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের গাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন দত্ত, পীযূষ দাস ও শুভঙ্কর মিশ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অতনু প্রধান ও দেবাদিত্য সাহার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করেন। জলপাইগুড়িতে অতনু প্রধান ও দেবাদিত্য সাহার চিকিৎসা চলছে।
এদিন এই ঘটনায় পুলিস দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
ময়নাগুড়ি দমকলের ওসি গোবিন্দ বর্মন বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। গাড়িতে পাঁচজন ছিলেন। গাড়িতে আটকে পড়া পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। তিনজনকে হাসপাতাল থেকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ময়নাগুড়ি থানার পুলিস মৃতদেহ তিনটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি পাঠিয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার পৃথক একটি বাইক দুর্ঘটনায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে ময়নাগুড়ির ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন ময়নাগুড়ি-চ্যাংরাবান্ধা সার্ক রোডে এক যুবকের মৃত্যু হয়। পুলিস জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ রায়(২৫)। বিশ্বজিৎ পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। তাঁর বাড়ি ময়নাগুড়ির আমগুড়ি এলাকায়।