বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৭ খারিজা জামালদহ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়া বর্মন একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চালুর দাবিতে ধর্নায় বসার পর মঙ্গলবার বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কংক্রিটের ওই রাস্তার কাজ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এদিন পঞ্চায়েত সদস্য জয়া দেবী নিজের বাড়িতে তৃণমূলের কিছু কর্মী ও এলাকার মহিলাদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন। অভিযোগ ওই সময়ে বিজেপির লোকজন তাদের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে। তিনজন তৃণমূল কর্মী জখম হন বলে দলের দাবি। সেই সময় জয়া দেবীর একটি ঘরে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। মেখলিগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে গত সোমবার রাতে মাথাভাঙার শনিমন্দির এলাকায় বিজেপির পার্টি অফিস তৃণমূল ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এর পাল্টা এদিন পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন মোড়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করে বিজেপি। অভিযোগ, লাঠি হাতে মুখে কাপড় বেঁধে একদল বিজেপি কর্মী রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। অফিসের ভিতরের সমস্ত আসবাব ভাঙচুর করে তারা। অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনার পর বিজেপির কর্মীরা মিছিল করতে গেলে পুলিস আটকে দেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বিজেপি নেতাদের। শেষ পর্যন্ত মিছিল করা থেকে পিছু হটে তারা। এদিনও মাথাভাঙা শহরে উত্তেজনা ছিল। পুলিশকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আতঙ্কে ছিলেন শহরের ব্যবসায়ীরা। বিজেপির জেলা প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, মেখলিগঞ্জের জামালদহে কাউকে মারধর বা কারও বাড়িতে হামলা করা হয়নি। ওই এলাকায় আমাদের কিছু কর্মী একটি সাংগঠনিক কাজে জমায়েত হতেই তৃণমূলের লোকজন ভয় পেয়ে নিজেরাই বাড়ির বাইরের একটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার দায় চাপায় বিজেপির উপর। মাথাভাঙায় ও তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা সাজানো। আমাদের একটি ধিক্কার মিছিল ছিল। পুলিশ আমাদের মিছিল করতে দেয়নি। পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, ভাঙচুরের রাজনীতি গোটা রাজ্যজুড়ে শুরু করেছে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির সরকার গোটা দেশের গণতান্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এখন এই সংস্কৃতি পশ্চিম বাংলায় চালু হয়েছে। উঠতি বয়সের কিছু ছেলেদের নানা লোভ দিয়ে দলে এনে এই তাণ্ডব চালাচ্ছে। জামালদহে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। প্রতিটি ঘটনার লিখিত অভিযোগ আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। এলাকার পরিবেশ যাতে উত্তপ্ত না হয় তার জন্য আমাদের কর্মীদের সর্তক থাকতে বলেছি। বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অশান্তি করতে চাইছি না আমরা। মানুষই এর জবাব দেবে।