পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বাড়িঘর ভাঙচুর সহ তৃণমূলের পার্টি অফিস দখল করা নিয়ে রবিবারও ময়নাগুড়ি জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। টেকাটুলি, পানবাড়ি, ময়নাগুড়ি, দক্ষিণ মৌয়ামারীতে তৃণমূলের একাধিক দলীয় কার্যালয় দখল ও কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে। এদিন নতুন বাজারে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের একটি কার্যালয়ও বিজেপি দখল করে। বিজেপি’র দাবি, এটা স্থানীয় একটি ক্লাবের জায়গা ছিল। তা উদ্ধার করে ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে শনিবার রাতে টেকাটুলিতে তৃণমূলের কার্যালয় ভাঙচুর হয়েছে। এদিন দক্ষিণ মৌয়ামারিতে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এদিন পানবাড়ি, রামশাই এলাকাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, এদিন জল্পেশে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভবাবু। এরপর তিনি বিজেপি’র দখল করা দলীয় কার্যালয়ের তালা খুলে দেন। তিনি বলেন, বিজেপি এখনও রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি। তাতেই এই অত্যাচার শুরু করেছে। কিন্তু তারা জানে না এখনও আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় আছি। অন্যদিকে, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় এদিন ময়নাগুড়িতে দলীয় কর্মী ও পুলিস সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সৈকতবাবু বলেন, বিজেপি যেভাবে অত্যাচার শুরু করেছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা বন্ধ না হলে আমরা গণআন্দোলনে শামিল হব। বিজেপি’র জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক অনুপ পাল বলেন, আমাদের কর্মীরা কারও বাড়িঘর, কিংবা গাড়ি বা পার্টি অফিসে হামলা করেননি। এই কাজকে আমরা প্রশ্রয় দিই না।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে কোচবিহার-১ ব্লকের শুটকাবাড়িতে মহম্মদ আলি নামে এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি এমজেএন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, জেলা জুড়ে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। এটা নতুন বিজেপি’র সঙ্গে পুরনো বিজেপি‘র সংঘর্ষের ফল। আমাদের কোনও কর্মী জড়িত নয়। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই জলপাইগুড়ির পাহাড়পুরে রাজনৈতিক হামলা পাল্টা হামলায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পাহাড়পুরে বড়লাইন এলাকায় শনিবার গভীর রাতে তিন বিজেপি কর্মী সমর্থকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে তিন জনই গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ওই ঘটনার জেরে রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। এদিন পাহাড়পুরের উপপ্রধান তৃণমূলের বেণুরঞ্জন সরকার সহ দুই সমর্থকের বাড়িতে বিজেপি হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, দু’পক্ষের দুটি অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের শামুকতলার দক্ষিণ কুমারিজানে ভোজালির কোপে রঞ্জন কুমার দাস নামে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনাতেও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই ঘটনায় কোনওভাবেই রাজনীতি জড়িত নয়।