গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের পর রবিবারই বিজেপি’র প্রথম জেলা কমিটির বৈঠক হয়। শহরের কোর্ট মোড় ও ট্রান্সপোর্ট মোড়ের মাঝে বক্সা ফিডার রোডের পাশে দলের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে এদিন বিজেপি’র জেলা কমিটির ওই বৈঠকে জেলা কমিটির মোট ২১ জন সদস্যই যোগ দেন। বৈঠকের পর বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের কাজকর্ম মনিটরিং করার জন্য দলে নয় সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। মনিটরিংয়ে সরকারি কাজে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা দলমত নির্বিশেষে দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের কাছ থেকে ঠিক মতো সুবিধা পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তাঁর দাবি, লোকসভা ভোটে দল জেতায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বহু সদস্য ও নেতা আমাদের দলে আসতে চাইছেন। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে তৃণমূলের তোলাবাজ পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতাদের কোনভাবেই দলে ঠাঁই দেওয়া হবে না। ঝাড়াই বাছাই করে সব দিক খতিয়ে দেখে তবেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের দলে নেওয়া হবে।
এদিনের বৈঠকে বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিজেদের দলের দলছুট পঞ্চায়েত সদস্যদেরও একইভাবে ঝাড়াই বাছাই করে তবেই দলে ফেরানো হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া পঞ্চায়েত সদস্যরা বিজেপি’তে যোগ দিলে জেলার অনেক ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েত বোর্ডের সমীকরণই পাল্টে যাবে। যে পঞ্চায়েতগুলির দখলদারি নিয়েছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, জেলার ৬৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে আটটি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ১৩টি পঞ্চায়েত। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও আটটি পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি মাত্র চারটি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতে সক্ষম হয়। বিজেপি সদস্যদের ভাঙিয়ে তৃণমূল বিজেপি’র দখল করা চারটি পঞ্চায়েত বোর্ডের দখল নেয়। বিরোধীদের ভাঙিয়ে একইভাবে ত্রিশঙ্কু হওয়া ১৩টি পঞ্চায়েতেরও দখল নেয় তৃণমূল।
জেলায় ৬৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস একটি করে পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। বিরোধী সদস্যদের ভাঙিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের কাছ থেকেও ওই দু’টি পঞ্চায়েতও ছিনিয়ে নেয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মার দাবি, বিজেপি পঞ্চায়েত আইন বোঝে না। পঞ্চায়েতে আইনে স্পষ্ট বলা আছে, আড়াই বছরের আগে কোনও পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনা যাবে না। ফলে বিজেপি’র এই চেষ্টা ফলপ্রসু হবে না।