পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বাভাবিকভাবেই বিপ্লববাবুর এই অবস্থানে জেলায় জোর জল্পনা ছড়িয়েছে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও এব্যাপারেও বিপ্লববাবুর জবাব, এখনই কিছু বলতে পারছি না। জেলায় ফিরে কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। এদিকে তাঁদের দলে বিপ্লববাবুর যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে বিজেপি’র জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারকে প্রশ্ন করা হলে এককথায় তিনি জানিয়ে দেন, প্রশ্নই ওঠে না।
লোকসভা ভোটে বালুরঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের শোচনীয় পরাজয়ের পরে দলনেত্রীর রোষানলে পড়েন দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। ফল প্রকাশের পর শনিবারই তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন স্বয়ং নেত্রী। শনিবার সন্ধের মধ্যে জেলায় এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বেজায় চোটে যান বিপ্লব অনুগামীরা। শনিবার রাত থেকেই তাঁর অনুগামীরা বিপ্লববাবুর বাড়িতে আসতে থাকেন। রবিবার সকালেও সেই ভিড় অব্যাহত ছিল। তবে বিপ্লববাবু কলকাতায় থাকায় কর্মীদের ফিরে যেতে হয়।
লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি পড়তেই তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতার সঙ্গে জেলা সভাপতি বিপ্লববাবুর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ে। বিপ্লববাবুকে প্রার্থী করার দাবি জেলায় অনেক আগেই উঠেছিল। কিন্তু দলনেত্রী অর্পিতাকে প্রার্থী করায় বেজায় চটে বিপ্লব অনুগামীরা। বিপ্লববাবু নিজেও সেই ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি। আভাসে-ইঙ্গিতে ‘কর্মীদের দাবি’ তিনি উপর মহলে জানাতে থাকেন। এবার ভোটের ফল প্রকাশের পর দলের শোচনীয় পরাজয়ের দায় স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ঘাড়ে এসে পড়েছে। বিপ্লববাবুর খাসতালুক গঙ্গারামপুর ব্লক ও পুরসভা এলাকায় এবার ব্যাপক ভোট পেয়েছে বিজেপি।
তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির পর তৃণমূল নেত্রী জেলা সভাপতির পদ থেকে বিপ্লববাবুকে অপসারণ করায় বিপ্লব ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এখনও তৃণমূল নেতা হিসেবে জেলা রাজনীতিতে দখল রয়েছে বিপ্লববাবুর। জেলার দুটি পুরসভা, জেলা পরিষদ, অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে বিপ্লব ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বই ক্ষমতায় রয়েছে। তাঁরা বিদ্রোহ করলে সংকটে পড়তে পারে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে জেলার পুরসভা, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। জেলার বিপ্লব অনুগামীরা তাকিয়ে রয়েছেন নেতার দিকে। গঙ্গারামপুর থমথমে হয়ে রয়েছে।
বিপ্লববাবুর অনুগামীরা জানান, ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই জেলায় তৃণমূলের বীজ বপন করেন বিপ্লববাবু। নিজের গড়ে বসে অন্যের নেতৃত্বে চলা তাঁর পক্ষে সম্ভবপর নয়। যদিও বিপ্লববাবু তৃণমূল ছাড়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ে নতুন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, আমরা তৃণমূল দল করি শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। কে কী ভাবল তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। বিপ্লববাবু কী করবেন সেটা তাঁর ব্যাপার। আমি বলতে পারব না।