কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মৌসমের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা থেকে অঞ্চলস্তরের কমিটি তৈরির ক্ষেত্রে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে বেশি করে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। প্রবীণ পোড়খাওয়া নেতৃত্ব ও নতুন নেতৃত্বের সমন্বয়ে একটি ভারসাম্য তৈরির চেষ্টা তিনি চালাবেন। ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর, জেলার আদিবাসী-রাজবংশী বলয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হবে। দলের সঙ্গে সমন্বয়ের সুবিধার জন্যে সমস্ত গণসংগঠনের নেতৃত্বকে একটি বিশেষ ছাতার তলায় আনার সম্ভাবনা আছে। এই একই পদ্ধতিকে ব্লকস্তর পর্যন্ত প্রয়োগ করা হতে পারে। তবে জেলার সংগঠন পুনর্গঠনের কাজ অতি দ্রুত করে ফেলার সম্ভাবনা কম। কারণ, বরাবর এই জেলায় নানাভাবে পদ দিয়ে নেতৃত্বকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। দলের সর্বময় নেত্রীর বরাভয় থাকার পরেও পূর্বতন নীতিকে খারিজ করে একটি মোটামুটি সর্বসম্মত কাঠামো দ্রুত খাড়া করা কঠিন।
মৌসম বলেন, আমাদের নেত্রী সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। জেলায় নতুন করে সংগঠন গড়ার কাজ করতে হবে। আমাদের সামনে দু’টি পুরসভার নির্বাচন আছে। জেলার নির্বাচনী ফলাফলকেও বিশ্লেষণের মধ্যে রাখতে হবে। সমস্ত দিকে নজর রেখে দলের ভবিষ্যত উন্নতির জন্যে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি করা হবে।
২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফরে এসে দলের জেলা কমিটি তৈরি করে গিয়েছিলেন। সেই কমিটিই এতদিন নানা সংযোজন-বিয়োজনের মধ্যে দিয়ে চলছিল। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে শনিবার দলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সভাপতি বদল করে মৌসম নুরকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি কার্যকরী সভাপতি হিসাবে প্রবীণ বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় ও চেয়ারম্যান হিসাবে প্রাক্তন সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এই অসম্পূর্ণ কমিটি পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি তৈরির কাজ মৌসমকে করতে হবে। পাশাপাশি, গত বছরের মার্চ মাসে তৃণমূলের নতুন ব্লক কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। তদানীন্তন সভাপতির তৈরি সেই কমিটি নতুন জেলা সভাপতি বহাল রাখবেন কি না সেপ্রশ্নও আছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত যাই হোক, দ্রুত নতুনভাবে দলের পুনর্গঠনের কাজ মৌসম করতে চাইছেন। দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের সর্বময়নেত্রীর সরাসরি আর্শীবাদ ও জেলা পর্যবেক্ষকের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু কড়া অবস্থান নতুন সভাপতি নিতে পারেন। এখান থেকেই একটি সংগঠিত পরিকল্পনায় নতুন পরিকাঠামো তৈরির সম্ভাবনা ওয়াকিবহাল মহল উড়িয়ে দিচ্ছে না।