কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তানবীর হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওর বাবা জাহাঙ্গীর আলম পেশায় ইট ভাটার শ্রমিক। ওর মা রেশমা খাতুন গৃহবধূ। বাড়িতে এক বোন আর দুই ভাই মিলে পাঁচজনের অভাবের সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর সংসারে যেখানে দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়,সেখানে পড়াশুনার জন্য অর্থ জোগানো এই পরিবারের কাছে খুবই কষ্টকর ব্যাপার।
তুলসিহাটা হাইস্কুলের কৃতী ছাত্র তানবীর আলমের স্বপ্ন উচ্চ মাধ্যমিকে কলা বিভাগে পড়াশুনা করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করা। তার জীবনের লক্ষ্য ভবিষ্যতে একজন আদর্শ শিক্ষক হওয়ার। কিন্তু তার ইচ্ছাপূরণ করার আর্থিক সামর্থ্য পরিবারের নেই। তাই তানবীর মনেপ্রাণে চাইছে উচ্চশিক্ষা লাভে সরকারি বা বেসরকারি কোনও সংস্থা, সহৃদয় ব্যক্তি কিংবা কোনও আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে ভালো হয়।
তানবীর বলে, ছোট থেকেই বাবাকে কষ্ট করে সংসার চালাতে দেখেছি। তাই আমি চাই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমার মতো গরীব ছেলেমেয়েদের ভালো করে পড়াশুনা করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার। অভাব যেন উচ্চ শিক্ষার জন্য কখনও কারও ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। স্কুলের সব শিক্ষকের সহযোগিতার জন্যই ভালো ফল হয়েছে। বাবা মা সবসময় আমাকে পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেন।
তুলসিহাটা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হরেন্দ্রনাথ পাল বলেন, তানবীর আলম বরাবরই পড়াশুনায় ভালো ছিল। আগামী দিনে সে আরও ভালো ফল করুক, তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি। তানবীরের পড়াশুনার জন্য তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।