বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সুকান্তবাবু জেলার বাসিন্দা হলেও কর্মসূত্রে মালদহে থাকেন। তিনি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানির অধ্যাপক। তার পড়াশুনা বাড়ির পাশের স্কুল খাদিমপুর বয়েজে। তারপর তিনি বালুরঘাট কলেজে পড়াশুনা শেষে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। আর দেবশ্রী দেবীর বাবা দেবীদাস চৌধুরী শিক্ষক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন আরএসএসের সংগঠক ছিলেন। বাবার হাত ধরেই দেবশ্রীদেবীর রাজনীতিতে আসা। তাঁর পড়াশুনা খদিমপুর গার্লসে। পরে বালুরঘাট কলেজে পড়েন তিনি।
বালুরঘাট লোকসভা আসনের সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, বালুরঘাট শহরের ভূমিপুত্র আমি। এই শহরে বড় হয়েছি। দীর্ঘদিন থেকে দেবশ্রীদিকে চিনি। আমরা দুইজনে প্রতিবেশী। দু’জনে একসঙ্গে সংসদ সদস্য হয়েছি। মন্ত্রিত্ব কাকে দেবে তা ঠিক করবে দল। তবে পিছিয়ে রয়েছে আমাদের জেলা। এই জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে একাধিক পরিকল্পনা আমার আছে। আশা করছি নিজের লোকসভার পাশাপাশি জেলার জন্যও কিছু করবেন দেবশ্রীদি।
এবারের রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাঁচজনকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। তাদের মধ্যে শুধুমাত্র দুই জন সুকান্ত মজুমদার ও দেবশ্রী চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। এছাড়া কুশমণ্ডির কৃষ্ণ জোয়ারদার আর্য বহরমপুরে, কুমারগঞ্জের মাহফুজা খাতুন জঙ্গীপুর ও বালুরঘাটের বাসিন্দা নীলাঞ্জন রায় ডায়মন্ডহারবার বিজেপি’র প্রার্থী হয়েছিলেন। দেবশ্রী দেবী আর সুকান্তবাবুকে সংসদ সদস্য হিসাবে পেয়ে খাদিমপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। দেবশ্রী চৌধুরী ২০০৯ সালে বালুরঘাট কেন্দ্র থেকেই লোকসভায় দাঁড়িয়েছিলেন। তবে সেবার তিনি জয়ের মুখ দেখেননি। এবার জিতেছেন। আগে তিনি বালুরঘাটে স্থায়ীভাবে থাকলেও কয়েক বছর ধরে পাকাপাকিভাবে কলকাতায় রয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাটে থাকলেও চাকরির সুবাদে কয়েক বছর ধরে মালদহেই থাকেন।
সুকান্তবাবু বলেন, দেশবিদেশে আমার অনেক বন্ধু রয়েছেন যারা বড় বড় কোম্পানিতে ভালো পদে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এই জেলায় কোনও শিল্প গড়ে বেকার সমস্যা কীভাবে দূর করা যায় তা নিয়েও তাঁদের কাছে প্রস্তাব রাখবেন। সবার আগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে হবে। এইমস হোক বা ওয়াগন ফ্যাক্টরি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হলে সবই বন্ধ হয়ে যাবে। সেই দিক নজর দিয়ে সবার আগে ভারতমালার কাজ সম্পূর্ণ করা ও বিমান পরিষেবা চালু করবার উদ্যোগ নিতে চাইছি। এদিকে দেবশ্রীদেবী বলেন, বালুরঘাটকে আমি ভুলিনি। ভুলতে পারব না। আমরা শিক্ষা-দীক্ষা, রাজনীতিতে হাতেখড়ি সবই এই জেলায়। বালুরঘাটের মেয়ে হিসাবে আমি গর্ববোধ করি। অবশ্যই আমি আমার নিজের সংসদ এলাকার পাশাপাশি বালুরঘাট তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্যও কাজ করব।