কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আর এই পদে আনা হোক দলের আলিপুরদুয়ারের নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য জন বারলাকে। যিনি উত্তরের চা শিল্পকে হাতের তালুর মতো চেনেন। জন বারলা দলের চা শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় টি ওয়ার্কারস ইউনিয়নের ডুয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ থেকে বেরিয়ে প্রথমে নিজে একটি আলাদা সংগঠন তৈরি করেন ও পরে ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। পরে ডুয়ার্সে দলের চা শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পান। দলের চা শ্রমিক সংগঠনের মাধ্যমেই তিনি ডুয়ার্সে আদিবাসীদের মুখ হয়ে উঠেন।
বিজেপি’র উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু বলেন, উত্তরের চা শিল্পের সমস্যা দেখভালের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আলাদা করে চা শিল্প বিষয়ক একটি মন্ত্রক তৈরির প্রস্তাব নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরা চাইছি উত্তরের চা শিল্পকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার একটি পদ তৈরি হোক। বিষয়টি এখনও আলোচনার স্তরেই আছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়। বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, আমরা অবশ্যই চাইব নতুন মন্ত্রিসভায় চা শিল্প বিষয়ক একটি দপ্তর তৈরি হোক এবং সেই দপ্তরের দায়িত্ব যেন জন বারলাকে দেওয়া হয়। যদিও এই মন্ত্রক তৈরি হলে সেই মন্ত্রক কে পাবেন তা সম্পূর্ণভাবে ঠিক করবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে দলের মধ্যে বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়েই আছে।
দার্জিলিং পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্স মিলিয়ে সরকারি ভাবে ২৮৮টি চা বাগান আছে। তার মধ্যে ডুয়ার্সেই আছে শুধু ১৮৮টি চা বাগান। এছাড়া তরাইয়ে ৪০টি এবং দার্জিলিং পাহাড়ে ৬০টি চা বাগান আছে। ২৮৮টি চা বাগানের মধ্যে বর্তমানে ডুয়ার্সে ১২টি এবং পাহাড়ে একটি চা বাগান বন্ধ আছে। প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে উত্তরের প্রধান অর্থনীতি চা শিল্পের উপর মোট সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল।
বছরের পর বছর ধরে উত্তরের চা শিল্পের প্রধান সমস্যা হিসাবে আজও রয়ে গিয়েছে চা শ্রমিকদের জীর্ণ আবাসন, শ্রমিকদের বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, বন্ধ চা বাগান, অনুন্নত রুগ্ন বাগান এবং শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি লাগু না হওয়া। চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ওয়াকিবহাল সমস্ত মহলের অভিমত, চা শিল্পের সমস্যা দূরীকরণে যুক্তরাষ্ঠ্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েরই দায়িত্ব আছে। কিন্তু রাজ্যের বন্ধ বাগান খোলা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, রেশন ও পরিস্রুত পানীয় জল সহ শ্রমিকদের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে আজও কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে শুধুই দোষারোপ পাল্টা দোষারোপের পালা চলছে। বিজেপি নেতৃত্বের মূল্যায়ন, প্রথমে বাম ও পরে তৃণমূল দুই সরকারের আমলেই চা শ্রমিকদের এই সমস্যাগুলির সমাধান হয়নি। লাগু হয়নি ন্যূনতম মজুরিও। চা বলয়ের ভোটাররা এবার দু’হাত ভরে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার যদি সরাসরি উত্তরের চা শিল্পের সমস্যা নিয়ে আগ্রহ না দেখায় তাহলে ২০২১ সালের ভোটে চা বলয়ের ভোটাররা বাম ও তৃণমূলের মতো বিজেপিকেও ছুড়ে ফেলে দেবে। তাই মোদির মন্ত্রিসভায় চা শিল্প বিষয়ক মন্ত্রক তৈরির দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতারা।