রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দলের একাংশের দাবি, কোচবিহার লোকসভা নির্বাচনে এবার বিদায়ী সংসদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায়কে প্রার্থী করা হয়নি মূলত জেলা সভাপতির সঙ্গে তাঁর বিবাদের কারণে। সদ্য তৃণমূলে যোগদান করা বামফ্রন্টের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে প্রার্থী করে তাঁকে জেতানোর সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন রবিবাবু। অভিযোগ, দলের পুরনো নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী বলে পরিচিত বিধায়কদেরও তিনি গুরুত্ব দেননি। প্রচার পর্বে মিটিং মিছিলে তাঁর অনুগামীরাই ভিড় করেছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হতেই তাঁর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের নেতা-কর্মীদের একাংশ সরব হয়েছেন। তাঁরা জেলা সভাপতির পদ থেকে সরে যাওয়ার দাবিও তুলেছেন। কোচবিহার লোকসভা নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একটার পর একটা পোস্ট করা হচ্ছে। একটি পোস্টে লেখা হয়েছে ‘বুঝতে পারছি না এখনও জেলা সভাপতি পদত্যাগ করছেন না কেন’। অপর একটি পোস্টে লেখা হয়েছে কোচবিহার কেন্দ্রে হারের জন্য দায়ী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এই পেজটির কভার ফটোয় তৃণমূল নেত্রীর ছবি দেওয়া রয়েছে। মূলত বিদায়ী সংসদ সদস্য পার্থপ্রতিম রায়ের সমর্থনে এই অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচার করা হতো। পোস্টগুলিতে একাধিক ব্যক্তি তির্যক মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন একজন হারা মন্ত্রীকে কেন প্রার্থী করা হল। পার্থপ্রতিম রায়কে কেন করা হল না। শুধু গ্রুপবাজি করেছেন ঘোষ দাদা। সবাইকে নিয়ে চলার মানসিকতা নেই। এখনই এদেরকে সাইড লাইনে রাখা দরকার। না হলে দলের আরও ক্ষতি হবে। একজন লিখেছেন সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করবে না। বামপন্থী হার্মাদদের মাথায় বসিয়ে নাচানাচির ফল পেলাম। অপরদিকে রবিবাবুর পক্ষেও কয়েকজন মন্তব্য করেছেন। তাঁরা লিখেছেন, রবি ঘোষ আছে বলেই দলটা আছে।
এব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, আমি জেলা সভাপতি থাকব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অধিকার কারও নেই। যাঁরা এই পোস্টগুলি করেছেন তাঁরাই দলকে হারিয়েছেন। আমাকে জেলা সভাপতি রাখা হবে কিনা তা ঠিক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দোপধ্যায়। পুলিসের উচিত এই সমস্ত লোককে গ্রেপ্তার করা।