কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চাষিরা বলেন, ঝড়বৃষ্টিতে পাটের চারা মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এছাড়াও জমিতে জল জমে যাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ধান, পাট ছাড়াও ভুট্টা, শাকসব্জি সহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকার মুহূর্তে বহু আম ঝরে পড়েছে। অনেকেই বোরো ধান ঘরে তুলতে পারেননি। ওসব জলে ভিজে গিয়েছে। ধান ঝাড়াইয়ের ক্ষেত্রে আগামী দিনে সমস্যা হতে পারে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা কিঙ্কর দে তরফদার বলেন, এই মরশুমে ব্লকে প্রায় ৫২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। ব্লকের চাষিরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধান চাষের উপর নির্ভর করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঠিক সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায়। কিন্তু ঝড়বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
গত বুধবার রাতে মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ অংশে ঝড়বৃষ্টি হয়। গ্রাম ও শহরের বহু জায়গায় জল জমে যায়। দমকা হাওয়ায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে লোডশেডিং হয়ে যায়। এতে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর, মহেন্দ্রপুর, তুলসীহাটা, রসিদাবাদ, ভিঙল, বড়োই সহ আশেপাশের এলাকায় চাষিরা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেননি। যেসব মাঠে ধান ছিল সেইসব মাঠের ধান ঝড়বৃষ্টির জেরে ভিজে গিয়েছে। এর ফলে ধান ঝাড়তে যেমন অসুবিধা হবে তেমনই খড় নষ্ট হয়ে যাওয়ারও প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ায় পাট খেতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা জমির পাট হেলে গিয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের সুলতাননগর, সাদলিচক, মালিওঁর-১ এবং ২, দৌলতনগর, মশালদহ, দৌলতপুর, ইসলামপুর, ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ঝড়বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান, পাট, ভুট্টা, শাকসব্জি, আম সহ অন্যান্য ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।