বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির জেলার সম্পাদক তিলকতীর্থ ভৌমিক বলেন, বহু স্কুলেই পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। ছাত্র শিক্ষক অনুপাতও সব জায়গায় ঠিক নেই। অনেক স্কুলে তিনটি ক্লাসের পড়ুয়াসে একটি রুমেই বসতে হয়। আবার অনেক জায়গায় শিক্ষক থাকলেও প্রয়োজন অনুসারে ছাত্র নেই। গ্রামীণ এলাকার বহু ছাত্র পড়াশুনার পাশাপাশি অন্যা কাজে যুক্ত থাকে। এরফলে স্কুলে উপস্থিতিতে তারা পিছিয়ে যায়। এরকম আরও অনেক কারণেই জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষায় সার্বিক ফল রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে গিয়েছে।
এবিটিএ’র জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন, স্কুলগুলিতে পরিকাঠামোগত সমস্যা, শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এছাড়াও এই জেলায় প্রচুর প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়া আছে। সমস্ত কিছু মিলিয়েই জেলার সার্বিক ফল অন্যান্য জেলা, রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি আদিত্যনারায়ণ দাস বলেন, আগে একসঙ্গে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। আমি মনে করি না শিক্ষকরা স্কুলে গিয়ে পড়ান না। তবে জেলার ফল ভালো করার জন্য শিক্ষক অভিভাবক সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে।
জেলার ভারপ্রাপ্ত বিদ্যালয় পরির্দশক (মাধ্যমিক) দেবাশিস সরকার বলেন, কিছু সমস্যা রয়েছে। আমরা শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসব।
এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে পাশের হার ৮৬.০৭ শতাংশ। সেখানে উত্তর দিনাজপুরে পাশের হার মাত্র ৬৯.০১ শতাংশ। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় এই জেলার পাশের হার ছিল ৬৬ শতাংশ। গতবারের থেকে এবারের পাশের হারে বৃদ্ধি ঘটলেও তা রাজ্যের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে। এই জেলায় এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছেলেদের পাশের হার ৮৩.৩০ শতাংশ। সেখানে মেয়েদের পাশের হার মাত্র ৬০.৮৮ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে জেলার স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন, তার ওপরে নজরদারি প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একাংশ শিক্ষক সংগঠনের দাবি, জেলার বহু স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। অনেক স্কুলে করণিকও নেই। অনেক স্কুলেই এক বেঞ্চে ছ’জন করে পড়ুয়াকে বসতে হয়। অনেকে আবার অভিযোগ তুলেছেন, শিক্ষকদের পড়াশুনার পাশাপাশি আরও নানা ধরনের কাজে সারা বছর যুক্ত থাকতে হয়। এর ফলেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
বিদ্যালয় পরির্দশকের স্থায়ী পদটি খালি রয়েছে। এডিআই ওই পদে আছেন। রায়গঞ্জে এআই পদে দু’জন এবং এসআই পদে একজন করে রয়েছেন। পুরো অফিসে মাত্র ১১ জন কর্মী আছেন। ইসলামপুরে মাত্র একজন এআই ও একজন আপার ডিভিশন ক্লার্ক কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।