পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ছাঁটাইয়ের মুখে পড়া ধূপগুড়ির বাসিন্দা রাজর্ষি সরকার বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। আগের কয়েকজন বিএমওএইচের সঙ্গে সুন্দরভাবেই কাজ করেছিলাম। গত চার বছর আগে বর্তমান বিএমওএইচ সব্যসাচী মন্ডল দাযিত্বভার গ্রহণ করেন। ওঁর অধীনে কাজ ঠিকভাবেই করে আসছিলাম। কিন্তু শুরু থেকেই তিনি আমাকে সহ্য করতে পারতেন না। চাকরি ছেড়ে দেবার জন্য ঘনঘন চাপ সৃষ্টি করে মানসিক অত্যাচারও করেছেন। গত প্রায় দু’বছর ধরে অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। নানা আপত্তিকর ও অশালীন কথাবার্তা হজম করতে হয়েছে। আমার কয়েক মাসের সাম্মানিকভাতা আটকে দেওয়া হয়। এরপর বিএমওএইচের বিরুদ্ধে এবছর ২০ এপ্রিল এফআইআর করতে বাধ্য হই। এফআইআর করার পর গত ৩ মে বকেয়া সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হয়। পরে গত ৬ মে এফআইআর প্রত্যাহার করেও নিয়েছি। কিন্তু মঙ্গলবার আমাকে ছাঁটাইয়ের চিঠি ধরানো হয়েছে। তিনি জানান, চাকরির বয়স আর নেই। কাজটা গেলে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে অনাহারে মরতে হবে। ধূপগুড়ির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সব্যসাচী মন্ডল বলেন, আমি কোনও মন্তব্য করব না। যা বলার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলবেন। প্রগ্রেসিভ এন আর এইচ এম এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌমিক মৌলিক বলেন, কারও চাকরি যাওয়াটা সমর্থনযোগ্য নয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, জেলায় ১৫৭ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে মাত্র একজনকে বিভাগীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ছাঁটাই করা হয়েছে।