বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিতাই বাজারের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া পার্টি অফিসে শুক্রবার সকালে ২০০০ মানুষ হামলা করে। তারা বিজেপির দলীয় পতাকা ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও বিলি করার জন্য রাখা ১০০০ ত্রিপল নিয়ে যায়। অফিসের ভিতরের আসবাবপত্র ও তৃনমূলের ফ্লেক্স ফেস্টুন বাইরে বের করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া কাইতেরবাড়ি, ভোলাচাত্রা, নিউবাজার, নয়াবাজার, চামটা, ব্রহ্মোত্তরচাত্রা সহ ব্লকের সর্বত্র পার্টি অফিসগুলিতে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লকের একাধিক গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠছে। শীতলকুচির বাজার এলাকা, ভাওরথানা সহ বেশকিছু এলাকার পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৈরাগিরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের বাড়িতে হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। মাথাভাঙা শহরের ট্যাক্সি, ম্যাক্সি স্ট্যান্ড ইউনিয়নের কার্যালয়ে সদস্যরা নিজেরাই তৃণমূলের পতাকা নামিয়ে বিজেপির পতাকা লাগায়। শুক্রবারও মাথাভাঙার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।
সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশবাবু বলেন, সিতাইয়ে বিজেপির সহায়তায় কিছু সমাজবিরোধী গ্রামে গ্রামে ঢুকে মানুষকে ভয় দেখিয়ে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাদের দলীয় অফিসে ভাঙচুর করেছে। সিতাই পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিল সহ আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রামে ঢুকে আমাদের একাধিক কর্মীর বাড়িতে দিনভর ভাঙচুর লুটপাট করা হয়েছে। একাধিক পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন বলেন, সিতাইয়ে আমাদের সংগঠন করতেই দেয়নি ওখানকার বিধায়ক। ওখানে তৃণমূলের মাদার যুবর দ্বন্দ্ব ছিল। তাদেরই বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বিজেপির নাম দিচ্ছে। বিজেপি কর্মিরা ভাঙচুর লুটপাটে বিশ্বাস করে না। সিতাই, শীতলকুচি বা মাথাভাঙার কোনও ঘটনায় আমাদের কর্মীরা জড়িত নয়।