পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার (বাবলা), বিজেপি’র জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোস্তাক আলম ও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র, প্রত্যেকই তিনটি আসনই তাঁদের দল জিতবে বলে জোরালো দাবি করেছেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মালদহ একাধিক চমক দেখেছে। দু’বারের সংসদ সদস্য মালদহের কোতোয়ালি পরিবারের মৌসম বেনজির নুর তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাঁরই দাদা তথা কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরীকে নামিয়ে দেয়। মৌসমের সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন জেলাব্যাপী চর্চা তুঙ্গে তখনই উত্তর মালদহকে আরও একবার চর্চায় এনে দেয় একাধিকবারের সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুর বিজেপি’তে যোগ দিয়ে প্রার্থী হওয়া। ফলে শুরু থেকেই চমকিত হয়ে থেকেছে উত্তর মালদহ। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে চর্চিত এই লোকসভা কেন্দ্র প্রথমবারের জন্যে ঘাসফুল ফুটিয়ে চমক দিতে পারে। এমনটা হলে নির্বাচনে অপরাজেয় থাকার রেকর্ড ধরে রাখবেন কোতোয়ালির নবীন নেত্রী মৌসম।
দক্ষিণ মালদহ কেন্দ্র বরাবরই প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম নেতা বরকত গনিখান চৌধুরীর জন্যে চর্চায় থাকে। প্রয়াত ওই নেতা তো বটেই তাঁর পরিবারের পরবর্তী প্রতিনিধিরাও ওই কেন্দ্রে লোকসভায় হারেননি। প্রয়াত নেতার ভাই ডালুবাবু এবারও ওই কেন্দ্র ধরে রাখতে পারেন। এখানে দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল না বিজেপি কে থাকবে তা নিয়ে চর্চায় অবশ্য গণনার ২৪ ঘণ্টা আগেও রাশ পড়ছে না।
জেলার এবার একটি মাত্র লোকসভাতেই প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছিল সিপিএম। সেই আসনে দলের জয়ের সম্ভাবনা আছে এমন বিশ্বাস মালদহের আলিমুদ্দিনও রাখে না। কিন্তু বিধানসভার ক্ষেত্রে মালদহে দলের শিবরাত্রির সলতেটুকুও নিভে যাওয়া এখন কেবল গণনার অপেক্ষায় আছে। মালদহের হবিবপুর বিধানসভা কেবলমাত্র সিপিমের দখলে ছিল। এবার উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হলেই সেই রেকর্ড অতীত হয়ে যাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। তাতে প্রায় অর্ধদশক পরে হবিবপুর বামেদের হাতছাড়া হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। এই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অমল কিস্কু জিতে গেলে তা নির্বাচনী প্রবাহের ব্যতিক্রম বলেই চিহ্নিত হবে। তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, বিজেপি প্রার্থী জয়েল মুর্মুর জয়ের মধ্যে দিয়ে মালদহে দ্বিতীয় বিধায়ক পাওয়া গেরুয়া শিবিরের ভবিতব্য।
ফলে, প্রতিষ্ঠিত তিনদলের পছন্দের আবির ওড়া যেখানে কার্যত নিশ্চিত সেখানেই বিধি বাম হওয়ায় লাল আবির ওড়া প্রায় অসম্ভব। দোকানিরাও পসরা সাজিয়েছেন সবুজ আর গেরুয়া, হলুদ আবিরে।