বিএনএ, কোচবিহার: গণনাকেন্দ্রের বাইরে ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে বুধবার দুপুরে কোচবিহার জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। এদিন গণনাকেন্দ্র অর্থাৎ কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের বাইরে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তৃণমূল ক্যাম্প অফিস তৈরি করছিল। পুলিস সেখানে ক্যাম্প অফিস তৈরির ক্ষেত্রে আপত্তি জানায়। খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী সেখানে যান। জেলার পুলিস সুপার অমিত কুমার সিংও সেই সময় গণনাকেন্দ্রের বাইরে ছিলেন। ক্যাম্প অফিস করা নিয়ে পুলিস আপত্তি জানিয়েছে একথা শুনেই রবীন্দ্রবাবু মেজাজ হারান। জেলার পুলিস সুপারকে সামনে পেয়ে তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, নির্বাচন পর্ব আর কতদিন আছে? ২৭ মে’র পর কী হবে? তখন দেখব। পুলিস সুপারও পালটা বলেন, নিয়ম মেনেই কাজ হচ্ছে। তর্ক করবেন না। মন্ত্রীর দাবি, এতদিন নিয়ম মেনেই ক্যাম্প অফিস হয়েছে। এখন যাতায়াতের মূল রাস্তাটাও বন্ধ করে দিয়েছে। মানুষের হয়রানি হচ্ছে। জেলার পুলিস সুপার বলেন, ১০০ মিটারের মধ্যে নিয়ম মেনেই কোনও রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প রাখা যাবে না। এতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। এব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসনের কাছেও চিঠি লিখেছিলাম। গণনাকেন্দ্রের গেট নাকি হলের দেওয়াল থেকে এই দূরত্ব হবে তা জানতে চেয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এটা নিয়ে একটা ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন এব্যাপারে নির্দেশ দিলেই আমরা পদক্ষেপ নেব।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার ভোট গণনার দিনেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গণ্ডগোলের আশঙ্কা করছে তৃণমূল ও বিজেপি যুযুধান দুই শিবিরের নেতৃত্ব। বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, গণ্ডগোলের আশঙ্কা তো থাকছেই। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। আমরা এব্যাপারে কর্মীদের সতর্ক করেছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, গণ্ডগোল পাকানোটাই বিজেপির অন্যতম কাজ। সেটাই ওরা করার চেষ্টা করবে। তবে ওরা বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না। আমরাও সবরকমভাবে তৈরি রয়েছি।
কোচবিহারে এবারের লোকসভা নির্বাচন কার্যত যুযধান দুই শিবিরের মধ্যে মর্যাদা রক্ষার লড়াই। বামফ্রন্ট থেকে আসা পরেশ অধিকারী তৃণমূলের প্রার্থী হলেও এবারের লড়াইটা মূলত তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবুর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের। কোচবিহারের রাজনৈতিক জমি কার দখলে থাকবে সেটাই আজকের ফলাফল ঘোষণার পর স্পষ্ট হয়ে যাবে।