গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
১৯৮০-২০০৪ পর্যন্ত টানা মালদহের এমপি ছিলেন গনিখান। তাঁর প্রয়াণের পরও এই সাফল্য ধরে রেখেছিল কংগ্রেস। ২০০৬ সালের উপনির্বাচনে জিতেছিলেন গনিখানের ভাই তথা এবারেরও প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালুবাবু)। ২০০৯ সালে মালদহে দুটি লোকসভা কেন্দ্র তৈরি হয়— মালদহ দক্ষিণ ও উত্তর। মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকেও পরপর দুইবার জিতেছেন ডালুবাবু। এবার তৃতীয় বারের পালা।
কিন্তু এই কেন্দ্রে রাজনৈতিক পরিস্থিতির বদল প্রথম নজরে আসে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। প্রায় এক লক্ষ ৬৫ হাজার ভোটে জিতে ডালুবাবু এমপি হলেও বিজেপি উঠে আসে দ্বিতীয় স্থানে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও অনেককে তাক লাগিয়ে মালদহ দক্ষিণের অন্তর্গত বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় জিতে যায় বিজেপি। এরপর থেকে ধীরে ধীরে এই বলয়ে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি, দক্ষিণ মালদহে প্রবলভাবে উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। পঞ্চায়েত স্তরে তাদেরই আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবেএখানে সিপিএম কার্যত অস্তমিত। বিজেপি ও তৃণমূলের এই অভাবনীয় উত্থান ও সিপিএমের অস্ত যাওয়া এবার দক্ষিণ মালদহের ফলাফলে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে এবার ডালুবাবুর পরিণতি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে সিপিএমের শৈলেন সরকারের মতো না হয় সেনিয়েও উদ্বেগ রাখছে রাজনৈতিক মহল। সেবার শৈলেনবাবুর তীরে এসে তরী ডুবেছিল। জিতছি জিতছি করে শেষমেষ ১৮২০ ভোটে হেরে যান।
ইংলিশবাজার, মানিকচক ও বৈষ্ণবনগর— এই তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল মার্জিনে বিজেপি’র এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেলায় চর্চা চলছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এই তিন কেন্দ্রে বিজেপি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে গেলে কংগ্রেসের কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য। তবে সুজাপুর, মোথাবাড়িতে চিরাচরিত সুবিশাল লিড থাকবে কংগ্রেসেরই। ফরাক্কা এবং সামশেরগঞ্জে ডালুবাবু এগিয়ে গেলে কংগ্রেসের জয় সম্পূর্ণ নিশ্চিত। তবে এই দুই এলাকায় তৃণমূল ভালো ভোট পেলে অঙ্ক জটিল হয়ে যাবে। হাসি চওড়া হবে বিজেপির। তাই ডালুবাবুর দক্ষিণ মালদহ থেকে তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হলেও এই দৌড়ে কালো ঘোড়া বিজেপি। প্রার্থীরা অবশ্য সকলেই প্রত্যাশিতভাবে নিজেদের জয়ের দাবি করেছেন।