কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের একচেটিয়া আধিপত্য এবং রাজ্য সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাঝে বিজেপি'র এধরনের উত্থান সম্ভব নয় বলে দাবি করছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, মানুষ তৃণমূলের ভুল ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করার সাহস দেখাতে পারেননি। তারই প্রতিফলন ঘটবে এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলে। বিজেপির উত্তরবঙ্গ কমিটির আহ্বায়ক রথীন্দ্র বসু বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে নীরবে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করেছি। আর সেই কাজের মধ্য দিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের মনের কথাটা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। তারা রাজ্যের শাসক দলের স্থানীয় নেতা নেত্রীদের নানা অনৈতিক কাজ কর্ম নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসলেও ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারেননি। আমরা সেই জায়গাটায় পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। এর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত পাঁচ বছরে দেশজুড়ে উন্নয়নের যে ব্যাপক কর্মকাণ্ড হয়েছে তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের অবস্থান নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষকে নিবিড়ভাবে বুঝিয়ে গিয়েছি। এতে সাধারণ মানুষের মনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি'র প্রতি আস্থা বেড়ে গিয়েছে। তারই ফসল আমরা এবারের লোকসভা নির্বাচনে তুলতে চলেছি। রথীন্দ্রবাবুর দাবি, শাসক দল প্রতিটি ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া বা অভাব-অভিযোগের দিকটি নিজেদের মতো করে ব্যবহার করতে চেয়েছে। শাসক দলের প্রশাসনকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও মানুষের মনে ক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। ভয়ে মানুষ চুপ করে থাকায় তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা ধরেই নিয়েছেন যে কোনও কারণেই হোক মানুষ তাদেরই ভোট দেবেন। সেই জায়গাটা মজবুত করতে বিজেপি সম্পর্কে নানা মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়া হয়েছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে। যা বিজেপি কে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে।
রাজ্যে ক্ষমতায় না থাকার জন্য বিজেপি'র নেতারা সেভাবে তারকা হয়ে উঠতে পারেননি। এতে বিজেপি'র সুবিধাই হয়েছে বলে দলের দাবি। তারকা না হওয়ায় তাদের নেতারা দিনের পর দিন গ্রামে গ্রামে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করে গিয়েছেন। রথীন্দ্র বসুর মতো কয়েক জন নেতা দিনের পর দিন বিভিন্ন এলাকায় পড়ে থেকেছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে গিয়েছেন। যা শাসক দলের নেতারা গুরুত্ব দেননি। যখন ভোটের প্রচারে বিজেপির মিটিং, মিছিলে মানুষের ঢল নামতে শুরু করে তখন শাসক দলের ঘুম ভাঙে। কিন্তু তখন তৃণমূলের আর ড্যামেজ কন্ট্রোলের কোনও সুযোগ ছিল না বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।