কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের মালদহ জেলার অন্যতম কার্যকরী সভাপতি সুমালা আগরওয়াল বলেন, সবাই নিজেদের মতো অঙ্ক কষবেন এটাই স্বাভাবিক। আসলে ভোটের ফলপ্রকাশের প্রাকমুহূর্তগুলি এরকমই হয়। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে কিন্তু নেতাকর্মীরা একত্রিত হলে একটা চর্চা তো চলেই আসে। ফলে চর্চা হচ্ছে।
বিজেপির জেলা প্রবক্তা অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ভোটের অঙ্ক কষা তো হচ্ছেই। কখনও নেতৃত্ব নিজেদের মতো করে কষছে কখনও কর্মীরা হিসেব করে ঠিক না ভুল জানতে চাইছেন। কাগজ, কলম আর অঙ্ক, দিনভর এসবই চলছে। বিজেপির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম কিছু হয়নি।
এবার জেলার একটি লোকসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। সিপিএমের শিবিরেও পাটিগণিত চর্চা দেখা গিয়েছে। দলের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, আমরা বরাবরই নিজেদের সাংগঠনিক বৃত্ত থেকে একটি হিসেব নিয়ে থাকি। ভোটপর্ব মিটে যাওয়ায় বলাইবাহুল্য সেসব চর্চা তো হয়ই। শুধু মালদহ কেন অন্যত্র ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা এসেছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, কংগ্রেসের তো মালদহে জয় নিয়ে কোনও শঙ্কা নেই। আমাদের কর্মীরা আলোচনা করছেন কত ভোটে জিতব। ফলে জয়ের ব্যবধান নিয়ে নানারকম অঙ্কের হিসেবে কর্মীরা মেতে আছেন। এটি একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। অনেকক্ষেত্রে আমরাও তাতে যোগ দিয়েছি।
মালদহ কেন্দ্রে প্রায় মাসখানেক আগে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। আর হবিবপুরে সদ্য হয়ে গিয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচন। রবিবার ওই নির্বাচন শেষ হতেই সোমবার থেকে মালদহে দু’টি লোকসভা ও একটি বিধানসভা আসনের জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে পাটিগণিত চর্চা। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি, সিপিএম থেকে কংগ্রেস সব অফিসেই সোমবার ভোটের ফলাফল নিয়ে অঙ্ক কষতে দেখা গিয়েছে। সোমবার দুপুরে তৃণমূলের একটি অফিসে ভোটগণনা কর্মীদের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকের আগে-পরে দলের নেতাকর্মীদের মালদহের দু’টি লোকসভা নিয়ে অঙ্ক করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী কার হিসেব কত নিখুঁত তা নিয়ে জোরালো তর্কবিতর্ক হয়েছে। একইভাবে বিকেলে বিজেপির এক প্রার্থী, জেলা সভাপতির উপস্থিতিতে নেতৃত্বকে দেখা গিয়েছে ঘোর মনোযোগে অঙ্ক কষতে। দলের দুই প্রার্থীর অবস্থান নিয়ে দলীয় হিসেবে কখনও সবাইকে একমত হতে দেখা গিয়েছে আবারও কখনও আশঙ্কার মেঘও উঁকি দিতে নজরে পড়েছে। জেলা সিপিএম দপ্তরও এই পাটিগণিত চর্চার বাইরে ছিল না। দল লোকসভাতে একটি আসনে প্রার্থী দিলে কী হবে হবিবপুর উপনির্বাচন ধরলে দু’টি প্রার্থীই আছে দলের। ফলে অঙ্কও কষা হয়েছে জোরকদমে। তবে শুধু জেলা অফিস নয়, সমস্ত দলের ব্লক থেকে অঞ্চল অফিস পর্যন্ত জোরদার অঙ্কচর্চায় মাততে দেখা গিয়েছে দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক কর্মীদের। ফলাফল হয়তো ভিন্ন হয়েছে কিন্তু পাটিগণিত চর্চার উৎসাহ ছিল একই।