কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শিলিগুড়ি পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের একটিয়াশাল এলাকার অধীন ভোলানাথপাড়ার বাসিন্দা আয়েশা। সে বাংলায় ৯০, ইংরেজিতে ৯৩, অঙ্কে ৫৩, ভৌত বিজ্ঞানে ৮০, জীবন বিজ্ঞানে ৮৩, ইতিহাসে ৬৩ এবং ভূগোলে ৯০ পেয়েছে। আয়েশার বাবা চয়ন বিশ্বাস পেশায় সব্জি বিক্রেতা। একটিয়াশাল হাটে সব্জি বিক্রি করে কোনওমতে তিনি সংসার চালান। মা বাড়িতেই কাজ করেন। আবার কখনও কখনও বাজারে গিয়ে স্বামীকে সাহায্যও করেন। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। চয়নবাবু বলেন, সব্জি বিক্রি করে যা আয় হয় তাতে ঠিকমতো সংসারই চলে না। এমতবস্থায় মেয়ের এমন ফলাফলে আমরা খুবই খুশি। যদিও মেয়ের উচ্চশিক্ষার বিষয়টি মনে পড়লেই মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। কীভাবে মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করব তা বুঝে উঠতে পারছি না। কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাশে দাঁড়ালে উপকৃত হব। স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপনেন্দু নন্দী বলেন, প্রতি বছরই আমাদের স্কুলে অভাবী মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিকে ভালো ফল করে। আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি। এবারও আমরা আয়েশার পাশে আছি। সবদিক থেকে ওকে সাহায্য করব। স্কুলে ভর্তির ফি কমানো সহ আমরা বইপত্র বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।