কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কোচবিহার সুনীতি অ্যাকাডেমির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মণিদীপা নন্দী বিশ্বাস বলেন, গতবার আমাদের স্কুলের একাধিক ছাত্রী মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছিল। এবারও আমাদের স্কুলে ফলাফল ভালোই হয়েছে। ফলাফল আরও ভালো হতে পারত। তবে আমরা এনিয়ে হতাশ নই। জেনকিন্স স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এসএম রিয়াজ আহমেদ বলেন, ফলাফল ভালো করার পিছনে অনেকগুলি বিষয় থাকে। উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল হবে। এনিয়ে অন্য কোনও মন্তব্য করব না। তুফানগঞ্জের ইলাদেবী গার্লস হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা দীপা সাহা বলেন, বিগত দিনে মাধ্যমিকের ফলাফল বের হলেই আমরা জেনকিন্স স্কুল, সুনীতি অ্যাকাডেমির দিকে তাকিয়ে থাকতাম। প্রত্যেকবার ফলাফল বের হলেই সুনীতির ছাত্রীদেরই জয়জয়কার হত। এবার ওরা পারেনি। আমরা ছাত্রীদের তৈরি করেছি। তারাও পরিশ্রম করেছে। অভিভাবকরাও সচেতন হয়েছেন। এসবের জন্যই সাফল্য এসেছে। সফল হওয়া দু’জন ছাত্রীর গৃহশিক্ষকের উপর নির্ভরতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ গৃহশিক্ষকের কাছে গেলে আমাদের কিছু বলার থাকে না।
গতবার মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছিল কোচবিহারের শতাব্দী প্রাচীন সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রীরা। স্কুলের চারজন ছাত্রী রাজ্যের মেধা তালিকায় স্থান পেয়ে স্কুলকে খবরের শিরোনামে এনেছিল। ২০১৩ সালে এই স্কুলের ছাত্রী শ্রমনা দাস মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিল। এরপর ফের গতবার স্কুলের ছাত্রী সঞ্জীবনী দেবনাথ মেধা তালিকায় প্রথম, ময়ুরাক্ষী সরকার তৃতীয়, অঙ্কিতা দাস পঞ্চম ও ঐতিহ্য সাহা নবম স্থান পেয়েছিল। এবার অনেকেরই নজর সুনীতির দিকে ছিল। কিন্তু সুনীতি অ্যাকাদেমির ছাত্রীরা এবার সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি। অন্যদিকে জেলার অন্যতম নামকরা স্কুল জেনকিন্স স্কুল সাফল্যের নিরিখে গতবারেও কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল। গতবার দু’জন ছাত্র ৬৭২ পেলেও মেধাতালিকায় যেতে পারেনি। এবারও জেনকিন্সের কোনও ছাত্র মেধাতালিকায় ঠাঁই পায়নি। সেই জায়গায় তুফানগঞ্জে ইলাদেবী, দিনহাটা গার্লস স্কুল, শীতলকুচি হাই স্কুলের পড়ুয়ারা সাফল্য পেয়েছে। শিক্ষকদের একাংশের দাবি, লটারির মাধ্যমে ছাত্র ভর্তির পর এবার প্রথম ব্যাচ মাধ্যমিক দিয়েছে। তার প্রভাবও নামকরা স্কুলের ফলাফলের উপর পড়েছে।