রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সী অঙ্ক, ভুগোল ও ভৌত বিজ্ঞান এই তিনটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে পেয়েছে। এছাড়া, জীবন বিজ্ঞান ও ইতিহাস এই দু’টি বিষয়ে পেয়েছে ৯৯ নম্বর করে। বাংলায় ৯৬ ও ইংরেজিতে ৯৭ পেয়েছে। মঙ্গলবার ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ফালাকাটার সুভাষপল্লির বাড়িতে শ্রেয়সী ও তার বাবা মা অভিনন্দনের বন্যায় ভেসে গিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রতিবেশী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ঢল নেমেছিল শ্রেয়সীদের বাড়িতে। শ্রেয়সীর বাবা শ্যামাপ্রসাদবাবু অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগের অসুখে ভুগছেন। মা বিশাখাদেবী গৃহবধূ। শ্রেয়সীর এক দিদি রয়েছে। দিদি শোলাঙ্কি বিএসসি পাশ করে চাকরির চেষ্টায় আছে।
বিশাখাদেবী বলেন, আমরা জানতাম ছোট মেয়ে শ্রেয়সী মাধ্যমিকে ভালো ফল করবে। কিন্তু তাই বলে মেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় হবে ভাবতে পারিনি। একথা বলতেই বিশাখাদেবীর চোখের কোন চিকচিক করে ওঠে। শ্রেয়সী জানিয়েছে, মাধ্যমিকে ভালো ফল করব এই বিশ্বাস আমার ছিলই। কিন্তু তাই বলে দ্বিতীয় হব এটা ভাবতে পারিনি। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চাই। কিন্তু ডাক্তারি পড়তে গেলে প্রচুর খরচ। জানি না কি হবে।
মাধ্যমিকের প্রস্তুতির বিষয়ে শ্রেয়সী জানিয়েছে, তার পড়ার কোন নির্দিষ্ট সময় ছিল না। যখন পড়তে ভালো লাগত তখনই পড়তো। দিনে ও রাতে মিলিয়ে সাত থেকে আট ঘন্টার মতো পড়েছে সে। গৃহশিক্ষকও ছিল। পড়ার বাইরে নাচ ও গান করতে ভালোবাসে শ্রেয়সী। ক্রিকেটেরও পোকা। এবার আইপিএলের একটা খেলাও সে বাদ দেয়নি। ফালাকাটা গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা সাহা রায় দেব বলেন, জেলায় শ্রেয়সীই প্রথমবার মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়ে আমাদের স্কুলকে গর্বিত করে জেলার মুখ উজ্জ্বল করেছে। ওর জন্য আমরা গর্বিত।
রাজ্যের মেধা তালিকায় চতুর্থ বারোবিশা হাইস্কুলের ছাত্র অরিত্র সাহা বাংলায় ৯৬, ইংরেজি ও অঙ্কে ১০০ করে, ইতিহাসে ও জীবন বিজ্ঞান ৯৮ করে এবং ভৌতবিজ্ঞানে ৯৭ নম্বর পেয়েছে। অরিত্র ভবিষ্যতে নিউরো সার্জন হতে চায়। অরিত্রর বাবা দিলীপবাবু কামাখ্যাগুড়ি মিশন হাইস্কুলের শিক্ষক। মা পপিদেবী স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী। অরিত্রও ক্রিকেটের ভক্ত। বারোবিশার বটতলার বাড়িতে গিয়ে এদিন অরিত্রকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলা দাস সরকার। রাজ্যে নবম শিলবাড়ি হাট হাইস্কুলের ছাত্র জয়েশ রায় বাংলায় ৯৭, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯, ইতিহাসে ৯৬ ও ভুগোলে ১০০ পেয়েছে। জয়েশের বাবা কৈলাশ রায় ছেলের স্কুলেই শিক্ষকতা করেন। জয়েশও ভবিষ্যতে চিকিৎসা হতে চায়।