গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই প্রতিষ্ঠানে এখন ইলেকট্রিশিয়ান, ফিটার, ড্রেস মেকিং এবং মেকানিক কনজিউমার ইলেকট্রনিক ট্রেড রয়েছে। আগামী দিনে আরও নিত্যনতুন ট্রেড খোলার জন্য ভাবা হচ্ছে। তার মধ্যে কৃষি যন্ত্রের প্রশিক্ষণটি অত্যএন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি যন্ত্রের প্রশিক্ষণ হলে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলারের মতো গাড়িগুলির বিভিন্ন সরঞ্জাম সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীরা খুঁটিনাটি জানতে পারবে। ড্রাইভিং সম্পর্কে স্পষ্ট জ্ঞান অর্জন হবে। এই কোর্সের সার্টিফিকেট থাকলে পরবর্তী ক্ষেত্রে গাড়ির লাইসেন্স পেতেও সুবিধা হবে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পড়ুয়া ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা পিঙ্কি মণ্ডল বলেন, নতুন ভর্তি হয়েছি। খুবই ভালো ক্লাস হচ্ছে। কোনও কিছুর খামতি নেই। স্যারেরা ভালো ক্লাস নেন। এছাড়া এখানকার পরিবেশ একদম আলাদা। ইলেকট্রিশিয়ানের ক্লাসে অনেক কিছু গভীরে গিয়ে জানতে ও শিখতে পারছি। ভবিষ্যতে কর্মক্ষেত্রে অবশ্যই সুবিধা হবে।
হবিবপুর শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের অধ্যগক্ষ ত্রিদীপ কুমার মোদক বলেন, রাজ্য সরকারের এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পিছনে প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। এটি ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে। এই কৃষিবলয় এলাকাসহ গোটা জেলার পড়ুয়ারা এখানে আসছে। আমরা ভীষণ খুশি। ইলেকট্রিশিয়ান, ড্রেস মেকিং ও মেকানিক কনজিউমার ইলেকট্রনিক— এই তিন ট্রেড নিয়ে এর পথ চলা শুরু হয়েছিল। ইলেকট্রিশিয়ানে মধ্যে মোটর, ইলেকট্রনিকের বিভিন্ন পাঠ শেখানো হয়। ড্রেস মেকিংয়ে কাপড় সেলাইয়ের যাবতীয় কাজ শেখানো হচ্ছে। মেকানিক কনজিউমার ইলেকট্রনিকে রেডিও, টিভি, মোবাইল সারানোর কাজ শেখানো হয়। পরে এখানে ফিটার ট্রেড খোলা হয়েছে। সেখানে লোহার রড, নাটবোল্ট ছোটো বড় করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এটি বেকারদের কর্মের দিশা দেখাচ্ছে। এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও প্রশিক্ষণ ট্রেড হবে। এর জন্য সময় লাগবে।
২০১২ সালে বুলবুলচণ্ডীতে হবিবপুর শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। প্রথমে তিনটি ট্রেডে ৫৬ জন পড়ুয়া ছিল। এখন চারটি ট্রেড মিলে ১৪২ জন পড়ুয়া রয়েছে। প্রতিষ্ঠানে ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর ক্যাম্পাসে সৌন্দর্যায়নের জন্য ফোয়ারা করা হচ্ছে। পরিবেশ ভালো রাখতে প্রতিষ্ঠানের চারপাশে প্রচুর গাছও লাগানো হয়েছে।