পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কানাইয়াবাবু বলেন, আমি অন্তত ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হব। আমাদের সংগঠন আছে। সংগঠনের উপর ভিত্তি করে ভোটে লড়েছি। বিরোধীদের কারও সংগঠন নেই। কোনও বিধানসভা এলাকায় বিজেপির সঙ্গে লড়াই হয়েছে। কোথাও আবার সিপিএমের সঙ্গে। কিন্তু আমরা সমস্ত এলাকাতেই আছি।
কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের প্রার্থী দীপা দাশমুন্সিই জয়ী হবেন। একশো শতাংশ নিশ্চিত। আমাদের সঙ্গে বিজেপির ফাইট হবে। আমরা ইসলামপুর, চাকুলিয়া ও রায়গঞ্জ বিধানসভা এলাকায় লিড পাব। তৃণমূল কংগ্রেস শুধু মাত্র গোয়ালপোখরে লিড পাবে। সিপিএম হেমতাবাদে লিড থাকবে। বিজেপির করণদিঘি ও কালিয়াগঞ্জে লিড থাকবে।
বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, নিশ্চিন্তে বসে আছি আমরাই জয়ী হব। চতুর্মুখী লড়াই হলেও মূল লড়াই হয়েছে সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে। গোয়ালপোখর ও চাকুলিয়া বাদে সবকটি বিধানসভা আসনে আমরাই লিড পাব। চাকুলিয়াতে সিপিএম ও গোয়ালপোখরে তৃণমূল লিড পাবে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, আমরা আগেও বলেছি আমাদের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। শাসক দলের উপরে মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল। লোকসভা নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। তাদের সেই ক্ষোভের জবাব ইভিএমে মিলবে। মূল লড়াই বামফ্রন্ট ও বিজেপির মধ্যে হয়েছে। তৃণমূল এখানে তিন নম্বরে যাবে।
এদিন কানাইয়ার ঘনিষ্ঠ মহলের আলোচনা, কানাইয়াবাবু গ্রাস রুট থেকে রাজনীতি করে এসেছেন। তাঁর হিসেব এর আগে ভুল হয়নি। তাদের হিসেব অনুসাবে ইসলামপুর টাউনে তৃণমূল পাঁচ হাজার ভোটে পিছিয়ে থাকবে। কিন্তু গ্রামের ভোটে তা পূরণ করেও প্রায় ২০ হাজার ভোটে ইসলামপুর বিধানসভা এলাকায় দল এগিয়ে থাকবে। গোয়ালপোখর প্রায় ৫০ হাজার ভোটের লিড দেবে। চাকুলিয়াতে সিপিএম, কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জে বিজেপি লিড নেবে। হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জ এলাকায় তৃণমূল-বিজেপি সমান সমান থাকবে। মূল লড়াই বিজেপির সঙ্গেই হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, গোয়ালপোখরে বড় লিডের দিকেই তাকিয়ে আছে তৃণমূল। কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী গোলাম রব্বানি নিজেই সেখানে সামান্য ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তবে সেসময় গোলাম রব্বানি মন্ত্রী ছিলেন না। তিনি জিতে মন্ত্রী হওয়ার পরে এলাকায় বিরোধীদের ঘর ভেঙেছে। পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ সমস্ত কিছুই তৃণমূলের দখলে। এখনকার রাজনৈতিক সমীকরণ অনেকটাই তৃণমূলের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্পের সুবিধা অনুন্নত গোয়ালপোখরের মানুষ পেয়েছে। তার প্রভাব ভোটে পড়বে। ডানপন্থী দলগুলির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু না। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে। তাহলেও জেলাজুড়ে তাদের মজবুত সংগঠনও আছে। দীর্ঘ ৩৪ বছর বামফ্রন্ট সরকারে ছিল তার একটিই কারণ তাদের মজবুত সংগঠন।